চট্টগ্রাম সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফাইল ছবি

‘নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না’

অনলাইন ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬:২২ অপরাহ্ণ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সেচের চাহিদা পূরণে ফাঁকা জায়গা কিংবা বিল্ডিংয়ের ছাদে নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৩০-৪০টি নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

 

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নীলফামারীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরের বোর্ড সভাকক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উত্তরাঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা বছরে ছয় হাজার কোটি টাকার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করি। এজন্য আমরা নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়া এখন যেসব প্রকল্প হবে সেসব প্রকল্পের ফাঁকা জায়গা বা ছাদে যদি সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যায় তাহলে সেখানের বিদ্যুৎ সেচ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। সূর্যের আলোকে কেনা লাগে না, বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে গ্যাস, কয়লা কিনতে হয়। রংপুর বিভাগের যে কয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে তাদের কাছে চাইবো আপনারা ২০০ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন। তাহলে দেখবেন কারও ওপরে নির্ভর করতে হবে না।

 

রেলের জমি অবৈধ দখলে যাওয়া নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশে রেলের জমি যে অবৈধ দখল আছে এর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। যদি এখানে (নীলফামারী) না হয়ে থাকে তাহলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেব। একসময় হয়ত জোরজবরদস্তি করে সরকারি জমি দখল করা যেত। কিন্তু এখন আর সম্ভব নয়। এগুলোর কিছু আদালতে মামলাও রয়েছে। আমরা এসব বেকেট করার চেষ্টা করছি। বেশকিছু জমি রেলের মালিকানায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। রেলের জমি দখল রুখতে আরও একটা কাজ করা যেতে পারে, জমিটাকে ব্যবহার করা। যেমনটা সোলার স্থাপন করা হলে তো আর কেউ দখল করতে পারবে না। কিংবা অন্য কি কাজ করা তা বের করা। তাহলেই কেউ ওই জমি দখল করতে পারবে না।

 

তিনি আরও বলেন, যেকোনো জমি দখলে রাখতে হয়। ব্যক্তিগত জমিও কিনে ফেলে রাখলে সেটা অন্য কেউ দখল করতে পারে। এজন্য রেলের জমি রেলকেই দখলে রাখতে হবে। তা না হলে এটা বেদখল হয়ে যাবে।

 

কুইক রেন্টাল সম্পর্কে ফাওজুল কবির খান বলেন, এটা ২০১০ সালের আইন। দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের আইন ছিল এটি। এই আইনকে দিয়েই এসব জিনিস জায়েজ করা হয়েছে। এই আইনটা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আদালত প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানি কেনা থেকে বাতিল এবং আদালতে যাওয়া যাবে না এই দুটি ধারা বাতিল করেছে। এ ছাড়া গত বুধবার এই আইন পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে আদেশটা এমন এসেছে, যে প্রকল্প চলমান তা বন্ধ করা যাবে না। যেমনটা বিদ্যুৎ তো বন্ধ করা যাবে না। সেজন্য আদালত বলায় এটা মাফ করে দিলাম। সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে এটা পূর্ণ পরীক্ষা করতে পারবে। এটাতে যদি কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়ে থাকে তা দেখা হবে। মনে রাখতে হবে এগুলো একটি চুক্তি। চুক্তি বাতিল করতে গেলে আদালতে যেতে হবে। এসব চুক্তি দেশি-বিদেশি আইনজীবীদের দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার, রেলওয়ের পশ্চিম বিভাগের মহাপরিচালক মামুনুল ইসলামসহ উত্তরাঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট