আসলে পরিবেশ উপদেষ্টা নিজে বহুদিন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সাথে জড়িত। চট্টগ্রামে একটা পাহাড় কাটার ঘটনা পরিদর্শনে এসে ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলার মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। পলিথিন, হর্নসহ বিবিধ বিষয়ে তার মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ প্রশংসা পাচ্ছেন জনগণের কাছ থেকে। তাঁর কাছে প্রত্যাশা শীঘ্রই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন খসড়াটি চূড়ান্ত গেজেট আকারে যাতে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। Polluters Pay Principle যেন কেবল নির্দেশনাতেই থেকে না যায়। আমরা ৬৩ হাজার নদী দখলদারদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়টা দেখতে চাই। ভারতের সাথে ন্যায্য পানি বন্টন নিয়ে বিশ্ব ফোরামে যাওয়া হবে, এমনটা তিনি কয়েকবার বলেছেন- আমরাও আশ্বস্ত হয়েছি। কিন্তু নদীগুলো যে দেশের ভেতরেই ধুঁকে ধুঁকে মরছে বা নাই হয়ে গেছে, সেসবের প্রতিবিধান আগে দরকার।
শুধু এসবই নয়, আদালত তার ১৭ দফা নির্দেশনার মধ্যে নদী বিষয়ক তথ্য/উপাত্তকে স্কুল-কলেজে পাঠ্য করার নির্দেশও দিয়েছেন, ইউনিয়ন -উপজেলা পরিষদে প্রতি তিনমাসে একবার সভা-সেমিনার, চিত্র প্রতিযোগীতাসহ বিবিধ আয়োজনের নির্দেশনাও দিয়েছেন, বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এসব দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর ন্যস্ত। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রের নদী দখলকার ও দূষণকারীদের তালিকা প্রণয়ন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
Justice delayed, Justice denied. আমাদের নদীগুলো যেন তাদের সাথে হয়ে যাওয়া অন্যায়ের ক্ষতিপূরণ পায় সেটা বাস্তবায়নের এটা মোক্ষম সময়। পাবলিক ট্রাস্ট ডকট্রিন মতে, এই ক্ষতিপূরণের হকদার বাংলার আপামর জনসাধারণও।
লেখক : নদী উৎসাহী ও ব্যাংকার
পূর্বকোণ/এএইচ