বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৭২ জন বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে তাদের পদক পরিয়ে দেন।
বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিজিবি সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান ও মাদকরোধে ভূমিকা রাখছে। সরকার বিজিবিকে স্মার্ট ও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশমাতৃকা রক্ষায় সদাজাগ্রত বিজিবি। তারা দেশের অর্থনীতির জন্যও কাজ করে। বিজিবি রোহিঙ্গাদেরও নিরাপত্তা দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়ায় যাইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারব।
তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারাই ক্ষমতা এসেছে, সীমান্ত চুক্তি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। ছিটমহল বিনিময় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। এতে বিজিবিও কাজ করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা এর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিট সুন্দরভাবে সীমান্ত রক্ষা, সীমান্তে অপরাধ দমনে কাজ করতে পারছে। আমরা চাই, বিজিবি হবে অন্যতম স্মার্ট বাহিনী। এই প্রথম আমরা নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। ২০১৫ থেকে এই বাহিনীতে নারী সংযুক্ত হচ্ছে। তারা বেশ স্মার্ট, আজকে আপনারা দেখলেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রেরণা ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন।
পূর্বকোণ/এসি