গাজীপুর নগরীর নাওজোর এলাকায় সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের একজনের অবস্থা গুরুতর।
পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবরোধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সময় আজ বুধবার বিকেলে ওই সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি পুলিশ সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবীর (৩০), নায়েক মোরশেদ আলম খান (৩৫) ও কনস্টেবল ফুয়াদ হাসান (২৭)। তাদের মধ্যে ফুয়াদ হাসানের অবস্থা বেশি গুরুতর। তার ডান হাতের কবজিতে মারাত্মক জখম হয়েছে। আহত অন্য দুজন গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা শাখার উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন, ‘আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নাওজোর এলাকায় দিগন্ত সোয়েটার নামের একটি কারখানার সামনে পোশাকশ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করে। মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের সাঁজোয়া যানে থাকা একটি সাউন্ড গ্রেনেড অসাবধানতাবশত বিস্ফোরিত হয়। এতে পাঁচজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। তাদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়’।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ