চট্টগ্রাম রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: উদ্বেগের মধ্যেই তফসিলের অপেক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

৭ নভেম্বর, ২০২৩ | ৬:১১ অপরাহ্ণ

সংঘাত-সহিংসতা আর উদ্বেগের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার কোনো ইংগিত নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের হাতে ফুরিয়ে আসছে সময়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ যে তৈরি হয়নি, সে কথা খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের মুখেই এসেছে কিছুদিন আগে। তবে তিনি এও বলেছেন, পরিবেশ অনুকূল না হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নির্বাচন কমিশনের নেই। 

 

তফসিল ঘোষণার আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসেছিল ইসি। বিএনপিসহ সমমনারা তাতে যোগ দেয়নি। যেসব দল যোগ দিয়েছে, তাদেরও অনেকের কথায় ভোটের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি এসেছে। কিন্তু সিইসি আগের মতই দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

 

গত শনিবার সেই সংলাপের শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর বিবদমান সঙ্কট নিরসনে নির্বাচন কমিশনের কোনো ম্যান্ডেট নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সঙ্কটের সমাধান করে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। সময়সীমা সংবিধানে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। ইসির সামনে, পেছনে, পাশে খুব বেশি স্পেস নেই।”

 

প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য আলোচনা বা সংলাপের তাগিদ বিভিন্ন মহল থেকেই এসেছে। বিদেশি কুটনীতিকরাও এ বিষয়ে কথা বলে আসছেন বেশ কিছুদিন ধরে। তাতে সাড়া দেয়নি কোনো পক্ষই।

 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, এখন আর সংলাপের পরিবেশ নেই। অন্যদিকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি এখন রয়েছে হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচিতে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার বলেছেন, “সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। সংলাপের পার্ট শেষ। এক সময় বলেছিলাম কন্ডিশন তুলে নাও, আমরা ভেবে দেখব। এখন তারা যা করেছে, সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই।”

 

অন্যদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “তারা (সরকার) নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ পরিবেশে একটা নির্বাচনের নামে তামাশা করবেন এবং শেখ হাসিনা যে তালিকা ধরিয়ে দেবেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেই তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন। দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের অবরোধ শেষে আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, “এই দুর্বিনীত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে, এদের পতন ঘটাতে হবে।”

 

সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে গত ১ নভেম্বর।

 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট