‘বিশ্ব অ্যানেস্থেসিয়া দিবস’ আজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। ১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর ডায়েটিল ইথার অ্যানেস্থেসিয়ার প্রথম সফল প্রয়োগ হয়েছিল। সেই দিনটির স্মরণেই ১৯০৩ সাল থেকে বিশ্ব অ্যানেসথেসিয়া দিবস পালন করা হয়ে থাকে। অ্যানেসথিওলোজিস্টদের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব সোসাইটিস অব অ্যানেস্থেওলোজিস্টস’ প্রতিবছর বিশ্ব অ্যানেস্থেসিয়া দিবস উদযাপন করে।
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও উদযাপন করা হবে বিশ^ অ্যানেস্থেসিয়া দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ানসের (বিএসএ-সিসিপিপি) চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আজ (সোমবার) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
চিকিৎসকরা জানান, অপারেশনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় যেন কষ্ট না হয় তাই রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়ে থাকে। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর রোগীর শারীরিক সুস্থতা যাচাই করা, অপারেশন চলাকালে রোগীকে ব্যথামুক্ত রাখা, সার্বক্ষণিক মনিটরিং এবং অপারেশনের পরও রোগীকে ব্যথামুক্ত রাখার কাজটি করে থাকেন অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা। অ্যানেস্থেসিয়া উন্নতি হওয়ার কারণেই বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে জটিল সব সার্জারি। এ ছাড়া কিডনি, লিভার ও হার্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিরাপদভাবে প্রতিস্থাপন করাও সম্ভব হচ্ছে।
পূর্বকোণ/পিআর