চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মনোবিশ্লেষক নাট্যজ্ঞ ফারহানা পারভীন প্রীতি

মোস্তফা কামাল যাত্রা

২৪ জানুয়ারি, ২০২০ | ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ

ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পরপরই অপ্রত্যাশিত অসুস্থতায় বিগত ৩ জানুয়ারি ’১৯ ভোর পাঁচটায় দুই পুত্র সন্তান, স্বামী নাট্যজন মাশরুজ্জামান মুকুট এবং পরিবার পরিজন আর নাট্যাঙ্গনকে গভীর শোকে ভাসিয়ে পরপারে পারি জমান নিভৃতচারী নাট্যস্বজন ফারহানা পারভীন প্রীতি। ৩ জানুয়ারি ২০২০ পূর্ণ হতে যাচ্ছে ১ বছর। গত ৩ জানুয়ারি ২০২০ রোজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিস্থ সেমিনার কক্ষে ফারহানা পারভীন প্রীতির ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়Ñ ‘নাট্যকলা প্রাক্তনী’ এর উদ্যোগে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত স্মরণ সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতি ও প্রাসঙ্গিক স্মৃতিতর্পণ প্রীতির প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার সন্ধিক্ষণ হয়ে ওঠে। ৩দশক চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গনে সদাব্যস্ত। তবে, প্রচার বিমুখ নাট্যক্রিয়া অনুশীলক প্রয়াত প্রীতি প্রকৃতপক্ষে একজন নিভৃতচারী নাট্যসৃজকই শুধু ছিলেন না; ছিলেন নিঃস্বার্থ নাট্যস্বজনও বটে। নাট্যকর্মিদের ব্যক্তিগত সমস্যা-সংকটে তিনি ছিলেন বরাবরই অগ্রণী ভূমিকায়। যা উপকারভোগীমাত্রই অবগত। বহুমাত্রিক নাট্যক্রিয়ায় সচেষ্ট প্রীতি জীবদ্দশায় সর্বদাই ছিল উচ্ছ্বসিত।
সাংস্কৃতিক পরিবার ও পরিম-লে বেড়ে ওঠা ফারহানা পারভীন প্রীতি নাট্যকলায় ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়স্থ অধুনালুপ্ত চারুকলা বিভাগ থেকে এবং উভয় পর্যায়েই প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তথাপিও তাঁর ছিল না কোন অহংকার। চট্টগ্রামে প্রাতিষ্ঠানিক নাট্যশিক্ষা সম্পন্নকারী ১ম নারী নাট্যশিল্পী হিসাবে নাট্যকলা শাখার পরীক্ষা-শ্রেণী প্রযোজনাসহ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় নাট্যদল, মঞ্চমুকুট নাট্য-সম্প্রদায়, থিয়াট্রন রেপার্টরি, সমীকরণ থিয়েটার এবং নাট্যাধার এর প্রায় অর্ধশত প্রযোজনার নেপথ্য ও মঞ্চকর্মে যুক্ত থেকে চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গনকে যেমনি সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি বিকল্প নাট্যক্রিয়ায়ও ছিল তার নিরবচ্ছিন্ন পরিভ্রমণ।
থিয়েট্রন রেপার্টরি প্রযোজনা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত জোবায়দুর রশীদ নির্দেশিত ‘বহিপীর’ নাটকের কোন এক প্রদর্শনীতে প্রীতির দায়িত্বশীলতার কথা বর্ণনার মাধ্যমে এই পর্যায়ে থিয়েটার এর প্রতি ফারহানা পারভীন প্রীতির অকৃত্রিম প্রেম এর স্মৃতি আলোকপাতের মাধ্যমে থিয়েটারের প্রতি তাঁর কমিটমেন্ট পর্যালোচনা করতে চাই। ‘বহিপীর’ নাটকের প্রদর্শনীর ২ দিনপূর্বে মূল অভিনেত্রী জানালো যে, সে ঐ প্রদর্শনীতে ব্যক্তিগত কারণে অভিনয় করতে পারবে না। প্রদর্শনীর নিউজ ছাপা হয়ে গেছে, টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। এমতাবস্থায় প্রীতির দ্বারস্থ হলে সে ২রাত্রি জেগে সংলাপ মুখস্থ ও সহশিল্পীদের সাথে মহড়া করে ঐ চরিত্রের মান উত্তীর্ণ অভিনয় করে সেই যাত্রায় আমাদের রক্ষা করেছিল। একাগ্রতা ও অঙ্গীকার থাকলে যে নাটকের জন্য কোন বাধাই বাধা নয়Ñসেদিন প্রীতি তা প্রমাণ করেছিলেন।

নাট্যকলায় ¯œাতক পর্যায়ের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে ২য় বর্ষে আমি যখন হেনরিক ইবসেন রচিত ও শম্ভু মিত্রের নবনাট্যায়ন ‘পুতুল খেলা’ নাটকের শ্রেণী প্রযোজনা নির্মাণ করছিলাম তখন ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারহানা পারভীন প্রীতি অভিনেত্রী হিসাবে বুুলু চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নাট্যাভিনয় শুরু করেছিল। মনস্তাত্বিক মনোভঙ্গির প্রথাবিরোধী এমন একটি নাট্যচরিত্রে প্রীতির চরিত্রায়ন নির্দেশক হিসাবে আমার সামগ্রিক নাট্যনির্মাণ ভাবনাকে এগিয়ে নিতে রেখেছিল সহায়ক ভূমিকা। এই নাটকটির চূড়ান্ত প্রদর্শনী উপভোগ করেছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নাট্যপ্রযোজক রিয়াজউদ্দিন বাদশা।
প্রদর্শনীর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত শেষে বাদশা ভাই চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে মঞ্চনাটক প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার অনুরোধে তৎকালীন বিভাগীয় শিক্ষক নাট্যযুধিষ্ঠীর খ্যাত অধ্যাপক জিয়া হায়দার রচিত এবং নাট্যশিক্ষক রহমত আলী নির্দেশিত ‘উম্মাদ সাক্ষাৎকার’ নাটকটি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় নাট্যদল এর প্রযোজনায় ১ম মঞ্চ নাটক হিসাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্র কর্তৃক ধারণ ও প্রদর্শন হয়েছিল। যে নাটকের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রে প্রয়াত ফারহানা পারভীন প্রীতি চমৎকার অভিনয় করেছিলেন।

বিভাগীয় নাট্যশিক্ষক কামালউদ্দিন নীলু নির্দেশিত তৌফিক আল হাকিম রচিত আহসান সাঈদ অনূদিত ‘সংকটে শয়তান’ নাটকটিতেও প্রীতির অনবদ্য অভিনয় সুষমা প্রদর্শন করেছিল।
বিভাগীয় এবং চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় নাট্যদলের বিভিন্ন প্রযোজনায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘ইউনিট থিয়েটার কনসেপ্ট’-এ পরিচালিত থিয়েটার ইউনিট’ ভিত্তিক নাট্যক্রিয়ায় প্রীতির সরব উপস্থিতি এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত নেপথ্যকর্ম-মঞ্চকর্ম তাঁকে পরিণত করেছিল একজন সমৃদ্ধ ও দক্ষ নাট্যসৃজক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাট্যক্রিয়াসমূহ হলÑথিয়েটার ইউনিট; নাট্যাঙ্গন প্রযোজনা শামিম আহম্মেদ রচিত ও নির্দেশিত নাটক ‘সখিনার পালা’ এবং ঋত্বিক ঘটক রচিত ও অভিজিৎ সেনগুপ্ত অপু নির্দেশিত নাটক ‘জ¦ালা’। এছাড়া থেরাপিউটিক থিয়েটার ইউনিট প্রযোজনা শামিম আহম্মেদ রচিত ও মোস্তফা কামাল যাত্রা নির্দেশিত ‘গ্রাম্য ভোর’ নাটকের সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছিল ফারহানা পারভীন প্রীতি।

মূলত প্রান্তিক মানুষের মানবিক ও আত্মিক উন্নয়নে নাট্যক্রিয়ার বহুমাত্রিক প্রয়োগকলায় তিনি ছিলেন একজন নিরবচ্ছিন্ন ও আত্মনিবেদিত নাট্যজ্ঞ। নাট্যকলার শিক্ষার্থী হিসাবে যখন বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল ‘ইউনাইট থিয়েটার’ নামের বিকল্প নাট্যসংস্থা তখন সে ছিল সেই সংস্থার সকল নাট্য-উদ্যোগের একজন একনিষ্ঠ কর্মি।
‘ইউনিট্ থিয়েটার কনসেপ্ট’-এ পরিচালিত ‘ইউনাইট থিয়েটার’-এর সবধরনের নাট্য-ক্রিয়ায় সে ছিল একজন অবশ্যম্ভাবী নাট্যসৈনিক। কারণ বিকল্প ধারার সেই নাট্যযুদ্ধের সব নবতর প্রচেষ্টায় প্রীতির অংশগ্রহণ ছিল অনিবার্য। হাটে-ঘাটে-মাঠে-পথে-প্রান্তরে-পাহাড়-পর্বত-অলি-গলি-বস্তিতে পরিচালিত নাটকের বিকল্প সকল প্রয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রীতি ছিল সদা-সক্রিয়। যা প্রকারান্তরে ‘ইউনাইট থিয়েটার’ ভিত্তিক নাট্যচর্চার পথকে করেছে প্রশস্ত এবং সমৃদ্ধ।
মনোবিশ্লেষক নাট্যক্রিয়া অনুশীলক ‘থিয়েটার ইউনিট’গুলোর নাট্যনুশীলনকে এগিয়ে নিতে প্রীতি ছিল অগ্রদূতের ভূমিকায়। বিশেষ করে বাক-শ্রবণ-প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রয্ক্তু ‘ভার্বাল-ড্রামা’ এর প্রয়োগ প্রক্রিয়াকে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক নাট্যক্রিয়ায় উন্নীত করতে তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল প্রণিধানযোগ্য। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের মনোদৈহিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রযুক্ত থেরাপিউটিক থিয়েটার-এর নানান প্রয়োগ-প্রক্রিয়ায় প্রীতির নাট্যিক চৈতন্য মনোবিশ্লেষক নাট্যানুশীলনের প্রয়োগ ধারাকে করেছিল বৈচিত্র্যময়, যা প্রকারান্তরে একটি কার্যকর মনোদৈহিক ও মনোসামাজিক নাট্যশৈলী হিসাবে বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রয়োগ সম্ভাব্যতা অর্জনে রেখেছিল সহায়ক ভূমিকা।
প্রান্তিক পর্যায়ের নাট্য-অভিজ্ঞতাকে আরো শাণিত করতে ‘ইউনাইট্ থিয়েটার’-এর প্রতিনিধি হিসাবে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ফারহানা পারভিন প্রীতি যোগদান করেছিলেন ১ম সাউথ এশিয়ান থিয়েটার অব দি অপরেস্ড কনফারেন্স-এ। যুদ্ধাবস্থায় আফগানিস্তানে অনুষ্ঠিত সেই উপমহাদেশীয় কনফারেন্স-এ যোগদানের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প নাট্যধারার প্রতি তাঁর যে ঐকান্তিক ভালবাসা তাঁর প্রমাণ প্রীতি দিয়েছিল। কনফারেন্স-এ যোগদানের মাধ্যমে অর্জিত নাট্যশিখনকে নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজে লাগাতে প্রীতি বরাবরই ছিল অঙ্গীকারাবদ্ধ।

“ইউনাইট থিয়েটার ফর সোশ্যাল অ্যাকশন (টঞঝঅ/ উৎস)” আওতাভুক্ত বিভিন্ন ‘থিয়েটার ইউনিট’ এর অন্যতম একজন নাট্যসৃজক হিসাবে ফারহানা পারভীন প্রীতি বরাবরই ছিল সচেষ্ট। বহু সচেতনতামূলক ইস্যুভিত্তিক নাটকে অভিনয়, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তিনি সফলভাবে পালন করেছেন। আমৃত্যু সাধারণ সভ্য হিসাবে উৎস (টঞঝঅ) এর বৈচিত্রময় নাট্যযজ্ঞকে এগিয়ে নিতে রেখেছে বলিষ্ঠ ভূমিকা।
উন্নয়ন ও মনোবিশ্লেষক ও নাট্যক্রিয়ার পাশাপাশি ফারহানা পারভীন প্রীতি মঞ্চমুকুট নাট্য সম্প্রদায় এর হয়ে গ্রুপ থিয়েটার-ভিত্তিক নাট্যচর্চায় যুক্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে সে নিজেকে যুক্ত করে স্বামী নাট্যজন-নাট্যসংগঠক মাশরুজ্জামান মুকুট এর নেতৃত্বাধীন গ্রুপ থিয়েটার ‘সমীকরণ’Ñএ। উভয় গ্রুপের হয়ে প্রীতি বেশ কিছু মঞ্চ নাটকে অভিনয়, নেপথ্যেকর্ম ও নির্দেশনার কাজও করেছিলেন প্রীতি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রযোজনাসমূহ হলোÑসম্ভু মিত্র রচিত ও সুচরিত দাস খোকন নির্দেশিত ‘পুতুল খেলা’, আমিনুর রহমান মুকুল রচিত ও মোসলেম উদ্দিন সিকদার নির্দেশিত ‘মলকা বানু’, কালীদাস রচিত ও ওহিদুল আজম টিপু নির্দেশিত ‘অভিজ্ঞান সকুন্তলম’, ভাস রচিত ও মোস্তফা কামাল যাত্রা নির্দেশিত ‘মৃচ্ছকটিক’, খন্দকার মুর্তাজা আলী রচিত ও মোস্তফা কামাল যাত্রা নির্দেশিত ‘কবিয়াল রমেশ শীল’ ইত্যাদি।
তবে তিনি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে সম্পৃক্ত ছিল গ্রুপ থিয়েটার ‘নাট্যাধার’ এর একজন নাট্যসংগঠক হিসাবে। নাট্যাধার এর উল্লেখযোগ্য আয়োজন ‘জিয়া হায়দার নাট্যপদক’ প্রদান কর্মসূচি প্রতিবছর করার ব্যাপারে সে ছিল একাগ্র। যার কারণে অদ্যাবধী নাট্যাধার প্রতি বছর এই নাট্যপদক কর্মসূচী সফলভাবে সু-সম্পন্ন করতে সমর্থ হয়েছে।
নাট্যাধার দল সমন্বয়ক মাশরুজ্জামান মুকুট এর অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে নয়; একজন সক্রিয় নাট্যকর্মি হিসাবে দলের ক্রান্তিকালে ফারহানা পারভীন প্রীতি প্রদর্শন করেছেন দায়িত্বশীল অবস্থান। নিজ বাড়ির ছাদে দলের বিশেষ আয়োজন, মহড়ার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়ির নিচে গ্রুপের বিভিন্ন নাটকের সেট সংরক্ষণের ব্যবস্থাই শুধু করতেন তাই নয়, সেগুলোর নিয়মিত পরিচর্যাও করতেন একজন নাট্যাধার কর্মি হিসাবে।

প্রদর্শনী শেষে রাত হয়ে গেলে নারী নাট্যকর্মিদের জন্য সর্বদাই ছিল তাঁর বাসস্থান উন্মুক্ত। আমন্ত্রিত নাট্যদলের নাট্যশিল্পীদের আবাসন ও আপ্যায়নেও প্রীতি ছিল সদা আন্তরিক। গ্রুপের যে কোন বড় আয়োজনে পুত্র-সৃজন ও অর্জনসহ তাঁর স্বপ্রতিভ উপস্থিতি ছিল নাট্যাধার কর্মিদের জন্য উৎসাহ ব্যাঞ্জক। যা নাট্যাধার এর সামগ্রিক নাট্যক্রিয়ায় এনেছিল সমৃদ্ধি।
তাঁর অকাল প্রয়াণ আমাদের নাট্যক্রিয়ার জন্য এক অমানিষা। ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট