চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

জুমার দিন যে ৪ সূরা পড়লে বিপুল সওয়াব

মুফতি আসিম নাজিব

২৫ জুন, ২০২১ | ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

জুমার দিনই সপ্তাহের সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠতম। আল্লাহ এই দিনের বিশেষ সুন্নতও শিক্ষা দিয়েছেন। যেগুলোর ওপর আমল করলে পুরো সপ্তাহের সগিরা গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়।

এই দিনের বিশেষ আমলের মধ্যে কিছু সূরা পাঠের কথা হাদিসে রয়েছে। যেগুলো তিলাওয়াত করলে অশেষ নেকি অর্জন হবে। নিম্নে সেই সুরাগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করা হলো—

সুরা কাহফ পড়লে ঈমানের নুর লাভ

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।’ (বায়হাকি, সুনানে সুগরা, হাদিস : ৬৩৫; বায়হাকি, সুনানে কুবরা, হাদিস : ৫৭৯২)

বারাআ (রা.) সুরা কাহফের বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কে বলেন, এক ব্যক্তি ‘সুরা কাহফ’ তিলাওয়াত করছিলেন। তাঁর ঘোড়াটি দুটি রশি দিয়ে তাঁর পাশে বাঁধা ছিল। তখন এক টুকরা মেঘ এসে তাঁর ওপর ছায়া দান করল। মেঘখণ্ড ক্রমেই নিচের দিকে নেমে আসতে লাগল। আর তাঁর ঘোড়াটি ভয়ে লাফালাফি শুরু করে দিল।

সকাল বেলা যখন লোকটি নবী (সা.)-এর কাছে উক্ত ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন, তখন তিনি বলেন, এটি ছিল সাকিনা (প্রশান্তি), যা কোরআন তিলাওয়াতের কারণে নাজিল হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫০১১)

ফজর-জুমায় সুন্নত অনুসারে সুরা পাঠ

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) জুমার দিন ফজরের নামাজে ‘আলিফ লাম মিম তানজিলুস সাজদাহ’ (সুরা আস সাজদাহ) ও ‘হাল আতা আলাল ইনসা-নি হিনুম মিনাদ দাহর’ (সূরা আদ দাহর) এবং জুমার নামাজে সূরা জুমা ও সূরা মুনাফিকুন পাঠ করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৯১৬)

সুরা দুখান পাঠ করলে ক্ষমা প্রাপ্তি

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) সূরা হা-মীম আদ-দুখান পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৮৯)

অন্যান্য বর্ণনায় সূরা ইয়াসিনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, শুধু সূরা ইয়াসিন নয়; পবিত্র কোরআনের সব সূরাই বরকতময় ও পুণ্যবহ। তাই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়— জুমার দিন আমরা যেকোনো সূরাই তিলাওয়াত করতে পারি। 

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট