চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

জাপানে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন হাগিবিসি, তীব্র বাতাসে নিহত ১

অনলাইন ডেস্ক ছবি-রয়টার্স

১২ অক্টোবর, ২০১৯ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে প্রলয়ঙ্করী সুপার টাইফুন হাগিবিস। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই দুর্যোগের খবর জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুপার টাইফুন হাগিবিস এখন জাপান উপকূলের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। ১৮০ কিলোমিটার (১১১ মাইল প্রতি ঘণ্টা) গতিতে ছুটতে থাকা এই টাইফুনের ফলে গত ৬০ বছরের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎহীন এবং একটি গাড়ি তীব্র বাতাসে উল্টে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

১৯৫৮ সালের পর এত শক্তিশালী টাইফুন দেশটিতে আর আঘাত হানেনি। কানোগোয়া নামের শক্তিশালী ওই টাইফুনে বারো শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল।

হাগিবিস নামের শক্তিশালী এই টাইফুন শনিবার জাপানের অন্যতম জনবহুল দ্বীপ হোনসুতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে দোকানপাট, কল-কারখানা ও ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার দেশটিতে অনুষ্ঠেয় রাগবি ওয়ার্ল্ড কাপ ও ফরমুলা ওয়ান গ্রান্ড পিরিক্সও এর কারণে ব্যাহত হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের জন্য একটি নতুন টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থাপন করেছে।

সতর্কতা হিসাবে স্টোর, কারখানা এবং পাতাল রেল ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, জাপানি ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্সের আয়োজকরা শনিবারের জন্য নির্ধারিত সমস্ত অনুশীলন এবং যোগ্যতা অধিবেশন বাতিল করেছেন।

শনিবার খেলতে যাওয়া রাগবি বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচও বাতিল হয়ে গেছে। বুলেট ট্রেন ও ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।  

যেসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে সেসব অঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাইফুন আঘাত হানার আগে মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনার কারণে সুপার মার্কেটগুলোতে পণ্যের মজুত কমে গেছে।

হাগিবিস শব্দের অর্থ হলো গতি। ফিলিপাইনি ভাষার শব্দ টাগালগ থেকে এর উৎপত্তি। আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ‘এই টাইফুনের কারণে রেকর্ড মাত্রার বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা তো থাকছেই।’

গতমাসেই ফেক্সাই নামের একটি টাইফুনের আঘাতে দেশটির বেশ কিছু এলাকার অন্তত ৩০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। যেগুলোর বেশিরভাগই পুননির্মাণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এদিকে টাইফুন হাগিবিস মোকাবিলায় বেশ কিছু উপকূলীয় এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট