চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

নেপালে ৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

নেপালে মানবপাচার ও পণবন্দী করার অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সহায়তা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে নেপালের আরও দুই ব্যক্তি। গ্রেপ্তারকৃতরা ইউরোপের উন্নত দেশে পাঠানোর নামে ৮ বাংলাদেশি নাগরিককে পণবন্দী করেছিল।

গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা হচ্ছেন- আমির হোসেন (৪৭), মো. মশিউর রহমান (৩৭), সেলিম মিয়া (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (২১) ও তাহমিনা বেগম (২১)। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত দুই নেপালি নাগরিক হচ্ছেন- তারা নেপালি (২৭) এবং রোহানি রায় (৩৩)।

সোমবার (১৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়্যান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার অভিযোগে নেপালে একদল বাংলাদেশি মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা নেপাল হয়ে তৃতীয় কোনও দেশে মানব পাচারের র‌্যাকেট পরিচালনা করত।

হিমালয়্যান টাইমস বলছে, ইউরোপীয় দেশে পাঠানোর প্রলোভনে নেপালে পাচার করা আট বাংলাদেশিকে জিম্মি করার অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক ও দুই নেপালি সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে কাঠমান্ডু ভ্যালি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন অফিস।

গ্রেপ্তারকৃত এই দু’জন নেপালের সিন্ধুপালচক এবং ইলামের বাসিন্দা। নেপালে মানবপাচার চক্রকে সহায়তা করার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হিমালয়্যান টাইমস বলছে, ইউরোপের কোনও একটি দেশে পাঠানোর নামে ওই আটজন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে নেপালে পাঠানো হয়। এরপর নেপালে তাদের পণবন্দি করে অভিযুক্তরা। পরে আবু বকর সিদ্দিক নামে ওই আট বাংলাদেশি পণবন্দির একজন পাচারকারীদের খপ্পর থেকে পালাতে সক্ষম হন।

এরপর তিনি ভৃকুটিমন্ডপের ট্রাফিক পুলিশ অফিসে পৌঁছান এবং অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশিদের পণবন্দী করে রাখার খবর পেয়ে কালিমাটিদোলের একটি গেস্ট হাউস থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ভুক্তভোগী এই বাংলাদেশিদের আমির হোসেন নামে এক পাচারকারীর ভাড়া করা কক্ষে রাখা হয়েছিল।

আমিরের গ্রেপ্তারের পর অন্য অপরাধীদের পরিচালিত হরিসিদ্ধি-ভিত্তিক একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আরও দু’জনকে উদ্ধার করা হয় এবং কেটিসি বিউটি পার্লার অ্যান্ড স্পা নামে পরিচালিত নকশাল-ভিত্তিক ম্যাসাজ সেন্টার থেকে আরও দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়।

হিমালয়্যান টাইমস বলছে, জিম্মি এসব বাংলাদেশির পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ আদায় করেছে পাচারকারীরা। ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টাকা বাংলাদেশ থেকে নেপালে পাঠানো হয়।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ভুক্তভোগী বাংলাদেশিরা তাদের স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশায় দিন গুনছিল। তবে পণবন্দী করে পাচারকারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে আরও টাকা দাবি করতে শুরু করার পর তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়।

এমনকি বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তাদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট