চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা : আইএসপি ও সরকারি সংস্থার দায়বদ্ধতা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১:৫৪ অপরাহ্ণ

শোভন সেনগুপ্ত

 

বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা রহিম সাহেব অফিস থেকে ফেরার পর দেখেন তাঁর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা স্ত্রী মোবাইল এবং ইয়ার ফোন নিয়ে বসে আছেন জুম মিটিং করবেন বলে। একটু পরেই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকাদের মিটিং। রহিম সাহেব মিটিংয়ের প্রস্তুতি দেখে মৃদু হেসে হাত মুখ ধুতে গেলেন। ফিরে আসার পর দেখলেন তাঁর স্ত্রী সমানে পায়চারি করছেন এবং ছেলে মেয়েরাও সমানে চেষ্টা করে যাচ্ছে জুম এ সংযোগ পেতে। কি হলো সংযোগ পাচ্ছি না কেনো?

কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর দেখা গেলো বাসায় ইন্টারনেট কাজ করছে না। হায় হায়! এই সময়ে সমস্যা। ডায়েরি দেখে একটা নাম্বারে ফোন দিলেন, রিং বেজে যাচ্ছে, কিন্তু কেউ ধরছে না। অস্থিরতা আরো বেড়ে গেলো, আর কয়েক মিনিট পরেই মিটিং। কি হবে?

আর কোন নম্বর কি আছে? ওদের অফিসটা কোথায়? -রহিম সাহেব জিজ্ঞেস করলেন। (বাসায় উনার ইন্টারনেটের দরকার হয় না বলে উনি খুব একটা ব্যবহার করেন না। করোনাকালীন লক ডাউনের সময় তাঁর স্ত্রী কোথা থেকে জানি এই সংযোগ টা নিয়েছিলেন। আমাদের বাসার ক্যাবেল টিভির ছেলেটা এই লাইন দিয়েছে। কোম্পানির নাম তো জানি না।

পাশ থেকে মেয়ে বলে উঠলো, বাবা কাল সকালে আমার কিন্তু অনলাইন এক্সাম, নেট না থাকলে আমি কিভাবে এক্সাম দিবো। রহিম সাহেব কি মনে করে বলতে গেলো, কোথা থেকে কি সংযোগ নাও, কোম্পানির নামও জানো না।

এমনিতেই মাথা ঠিক নেই, তার উপর এই কথা শুনে তেলে বেগুনে জলে উঠলেন স্ত্রী।

সারা দিন শুধু অফিস আর অফিস, বাসার কোন কাজে তোমাকে পাই না…

রহিম সাহেব আর কথা না বাড়িয়ে তার স্ত্রীর মোবাইলে ডাটা লোড করে জুমে কানেক্ট করে দিলেন এবং ভাবতে লাগলেন এই রাতে যদি নেটের লাইন না আসে কালকে মেয়ের পরীক্ষা কিভাবে দিবে। সে তো আবার ল্যাপটপে পরীক্ষা দিবে।

উহ! সারা দিন অফিসের ঝামেলা শেষ করে বাসায় এসে শান্তি নেই…।

পরে জানা গেলো অবৈধভাবে ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য পুলিশের সহযোগিতায় BTRC (Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission) ওদের সেটআপ খুলে নিয়ে গেছে। এখন কবে এই কানেকশান ঠিক হয় বলা যাচ্ছে না।

এই ঘটনাটি কাল্পনিক হলেও আমাদের অনেকে প্রতিনিয়ত এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিগণ লকডাউনের সময় থেকে ইন্টারনেট এখন আর শুধুমাত্র মুভি দেখা বা অনলাইন গেইমিং মাধ্যম না। প্লে গ্রুপের শিশুর পড়ালেখা থেকে শুরু করে বাসার বয়স্ক ব্যাক্তিটির চিকিৎসার মাধ্যম এখন ইন্টারনেট। এর ফলশ্রুতিতে ইন্টারনেটের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। এই সুযোগে বৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে অবৈধ প্রোভাইডার বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। অনেক বৈধ ওঝচ পাড়ার ক্যাবেল টিভি কোম্পানিকে তাদের রিসেলার বলে এই পাড়ায় পাড়ায় ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এমনিতেই পাড়া ভিত্তিক ক্যাবল টিভি অপারেটরদের মধ্যে কোন্দল বিবাদমান তার উপর নতুন ইন্টারনেট ব্যবসার সুযোগ পেয়ে এলাকা ভিত্তিক দখলদারিত্ব বেড়ে গেছে অনেক। শুধুমাত্র ক্যাবল টিভি অপারেটর না, কিছু দিন বিভিন্ন ওঝচ তে কাজ করা টেকনিশিয়ানরাও এই ইন্টারনেট ব্যবসায় নেমে পড়ে। ইন্টারনেট/নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত শিক্ষাগণ জ্ঞান না থাকায় এই সব অবৈধ সার্ভিস প্রোভাইডারদের থেকে ভালো সেবা আশা করা দুরূহ।

তার উপর যথেচ্ছভাবে ফাইবার ক্যাবল টানা, অন্য প্রোভাইডারদের সেই এলাকায় কাজ করতে বাঁধা দেয়া কিংবা অন্যদের ফাইবার কেটে দিয়ে ইন্টারনেট সেবাকে ব্যাহত করে। যেহেতু তারা অবৈধ এবং সরকার নির্ধারিত বাৎসরিক ফি জমা না দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে, ফলে একদিকে যেমন সরকার আর্থিকভাবে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা যারা প্রতি বছর ফি দিয়ে এই ব্যবসা করছে, তারা কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে ব্যহত হচ্ছে, ফলে সৃষ্টি হচ্ছে এক অসুস্থ প্রতিযোগিণা।

বৈধ লাইসেন্স বিষয়ে : বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হলো বাংলাদেশের একটি স্বাধীন কমিশন, যা বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে কাজ করে থাকে। এটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১৮ নং আইন) দ্বারা গঠিত হয়। বিটিআরসি’র লাইসেন্সিং নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকা (ডিসেম্বর ২০২০) অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবার জন্য ৪ ধরনের লাইসেন্স প্রদান করে থাকে, যা হলো-

১। দেশব্যাপী (Nationwide ISP License) লাইসেন্স : এই লাইসেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় এবং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বৎসর। এর বিভিন্ন ফি সমূহের মধ্যে রয়েছে আবেদন ফি ২৫,০০০ টাকা, লাইসেন্স ফি ৫,০০,০০০ টাকা, বাৎসরিক ফি ২,৫০,০০০ টাকা, নবায়ন ফি  ৫,০০,০০০ টাকা, এবং ব্যাংক গ্যারান্টি ৫,০০,০০০ টাকা।

২। বিভাগীয় (Divisional ISP License) লাইসেন্স : এই লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বিভাগে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় এবং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বৎসর। এই লাইসেন্সের ফি সমূহ হলো -আবেদন ফি ১০,০০০ টাকা, লাইসেন্স ফি. ২,০০,০০০ টাকা, বাৎসরিক ফি. ১,০০,০০০ টাকা, নবায়ন ফি. ২,০০,০০০ টাকা, এবং ব্যাংক গ্যারান্টি. ২,০০,০০০ টাকা

৩। জেলা ভিত্তিক (District ISP License)  লাইসেন্স : এই লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জেলায় ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় এবং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বৎসর।

এই লাইসেন্সের ফি সমূহ হলো -আবেদন ফি ১০,০০০ টাকা, লাইসেন্স ফি ১,০০,০০০ টাকা, বাৎসরিক ফি ৫০,০০০ টাকা, নবায়ন ফি ১,০০,০০০ টাকা এবং ব্যাংক গ্যারান্টি ১,০০,০০০ টাকা।

৪। উপজেলা/থানা ভিত্তিক (Upazilla/ Thana ISP License) লাইসেন্স : এই লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট উপজেলা/থানায় ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় এবং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বৎসর। এই লাইসেন্সের ফি সমূহ হলো -আবেদন ফি ৫,০০০ টাকা, লাইসেন্স ফি ২৫,০০০ টাকা, বাৎসরিক ফি ১০,০০০ টাকা, নবায়ন ফি ২৫,০০০ টাকা, ব্যাংক গ্যারান্টি ২৫,০০০ টাকা।

লাইসেন্সবিহীন আইএসপি ঠেকাতে এবং এই ব্যবসায় অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিটিআরসি বিগণ ২৪ মার্চ ২০২১ এক নিদের্শনা জারি করে, যা হলো-

ক) সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে তাদের অনুমোদিু চড়চসমূহে লাইসেন্সের কপি, গ্রাহকের বইয়ের কপি, গ্রাহক তালিকা (হার্ড কপি ও সফট কপি), বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র, চড়চ পরিচালনাকারীর/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নাম্বার স্থাপিু যন্ত্রপাতির তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
খ) কমিশন কর্তৃক অনুমোদিু লাইসেন্সধারী আইএসপি’র প্রতিটি চড়চ সাইটে নিজস্ব সাইনবোর্ড থাকতে হবে, এক্ষেত্রে অন্য কোন নাম/সাইন/ব্রান্ড ব্যবহার করা যাবে না, একি সাথে প্রতিটি আইএসপি’কে তাদের অনুমোদিু চড়চ এর বিস্তারিত তালিকা নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার জন্য বলা হলো। কোন প্রতিষ্ঠানের সকল চড়চ এর ব্যান্ডউইত উক্ত প্রতিষ্ঠানটির ঘঙঈ হতে সরবরাহ করতে হবে ।
গ) কোন আইএসপি’র বরাদ্দপ্রাপ্ত/ঘোষণাকৃত IP Address ev Autonomous System (AS) নম্বর অন্য আইএসপি কর্তৃক লীজ/পুনঃবরাদ্দপ্রাপ্ত/ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে যথাযথাভাবে চুক্তিপত্র সম্পাদনপূর্বক চুক্তিপত্রের কপি কমিশনের ইএন্ডও বিভাগে দাখিল করতে হবে এবং নিবন্ধিত অফিস ঠিকানা সহ অনুমোদিু চড়চ সমূহে সংরক্ষণ করতে হবে।

ঘ) ইন্টারনেট সেবা প্রধানকারী ওঝচ লাইসেন্সধারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইট ব্রডকাস্টিং চ্যানেল সার্ভিস/ক্যাবল টিভি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না এবং স্যাটেলাইট ব্রডকাস্টিং চ্যানেল সার্ভিস/ক্যাবল টিভি ব্যবসা পরিচালনাকারীকে ইন্টারনেট সেবা প্রদান কাজে নিয়োগ প্রদান বা নিযুক্ত করা যাবে না।
ঙ) লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান কিংবা কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। ওঝচ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিণার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে যাতে গ্রাহকগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণ ও বর্জন করতে পারে। এরূপ কোন বিষয় পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চ) এলাকা ভিত্তিক নামে-বেনামে গোড়ে ওঠা বিভিন্ন Association/সংস্থা/সমিতি কল্যাণ সংস্থার সাথে মিলে কিছু আইএসপি প্রতিষ্ঠান অন্য লাইসেন্সধারী আইএসপিদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানে বাঁধা প্রদান করছে। ফলে লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠানসমূহ লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে। এই বিষয়ে লাইসেন্সধারী সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এ ধরনের কার্যক্রম হতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।”

বিটিআরসি’র এই নোটিশ অনুসৃত হলে ইন্টারনেটের বাজারে সুস্থ অবস্থা বিরাজ করতো।

র্বুমান সময়ে আরো একটি বড় সমস্যা হলো বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ফাইবার ক্যাবল টানা। যদিও র্বুমানে ৩টি ঘঞঞঘ কোম্পানি ভূগর্ভস্থ ফাইবার সংযোগ দিচ্ছে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল আর দামের দিক দিয়ে বেশি আর লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটির জন্য ওভারহেড ফাইবার টানতেই হয়। ইন্টারনেট সেবার মান সঠিক রাখার জন্য এবং একটি সুস্থ প্রতিযোগিণামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষে বিটিআরসি’র পাশাপাশি বৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন আইএসপিএবি কাজ করে যাচ্ছে অনেক দিন ধরে। আলাদা একটি টিম গঠন করে রাস্তার পাশের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে স্থাপিু ফাইবার ক্যাবলগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য নিয়মিু কাজ করে যাচ্ছে আইএসপিএবি।

যেহেতু বৈদ্যুতিক পোলগুলো বিদ্যুৎ বিভাগের, তাই বিভিন্ন সময় পোল সরানোসহ বিভিন্ন কাজে পিডিবি’র লোকজন পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই ফাইবার ক্যাবল গুলো কেটে দেয়। একবারও ভেবে দেখে না ঐ ক্যাবেল লাইনে বিভিন্ন সরকারি অফিসের ইন্টারনেট, কাস্টম হাউস, পোর্ট এবং ইপিজেডের মতো রপ্তানি নির্ভর অফিসের ইন্টারনেট চলে। এই প্রতিযোগিণামূলক বাজারে সময় মতো ইমেইলের উত্তর দিতে কিংবা অনলাইন অর্ডার দিতে না পারায় গুনতে হয় অতিরিক্ত ফি। তার উপর টুকরো করে দেয়া ফাইবারগুলো জোড়া দিতে গিয়ে ফাইবারের ডিবি dB(decibel) বেড়ে যায়, এরফলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ডাটা সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। এই ধরনের সমস্যার কারণে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগণ কেটে ফেলা ফাইবার ব্যবহার না করে নতুন ফাইবার ব্যাবহার করেন। এর ফলে নতুন করে আবারও খরচ বহন করতে হয় আইএসপিদের। আর সবচেয়ে বড় কথা ওই কেটে ফেলা ফাইবারগুলো রাস্তায় পড়ে থাকে দীর্ঘসময়, যার ফলে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা। কিন্তু এই সমস্যা খুব ভালোভাবে সমাধান করা যেতো যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগেভাবে আইএসপিএবিকে জানিয়ে দিতো।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররাও সমাজে বসবাস করেন। অন্য সবার মতো বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর তারের জঞ্জাল তাদেরও ভালো লাগার কথা না। এইক্ষেত্রে দরকার পিডিবি কিংবা বিটিসিএল কর্তৃপক্ষের সহযোগিণা। যুদিন না সব তার ভূগর্ভস্থ লাইনে স্থানান্তর হচ্ছে ততদিন আইএসপিএবি’র মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের পূর্ব নোটিশ দিয়ে অবহিত করা দরকার, এতে সংশ্লিষ্ট আইএসপি নিজেরাই তাদের ক্যাবল সরিয়ে ফেলতে পারে, ফলে ফাইবার অপটিক্স ক্যাবলের অপচয়ও কমে যাবে এবং ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীরা নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পাবেন।

ইন্টারনেটের ব্যবহার কিংবা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। র্বুমান সময়ে একটা কথা প্রচলিু আছে- একবেলা না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু একবেলা ইন্টারনেট ছাড়া চলা অসম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব যারা করছে (আইএসপি) তাদেরও যেমন দায়বদ্ধতা আছে বৈধভাবে এই ব্যবসা করার তেমনি অন্যান্য সরকারি সেবা সংস্থাগুলো (বিটিআরসি, পিডিবি, বিটিসিএল) এর সার্বিক সহায়তা দরকার এই সেবাকে টিকিয়ে রাখা। কারণ সবার সম্মিলিু প্রচেষ্টার ফল আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট