আপনি করোনার সময় কতটা অসুস্থ ছিলেন তার উপর নির্ভর করে আপনার সেরে উঠতে কতটা সময় লাগবে। পোস্ট কভিড লক্ষণ গুলো ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন রকম হয়। শতকরা ৭৫ ভাগ রোগীর দীর্ঘ সময় যেমন সপ্তাহ বা মাসব্যাপী লক্ষণ থাকে এবং পুরোপুরি সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়। অনেক লক্ষণ করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরেও শরীরে থেকে যায়। তবে দুটি প্রধান লক্ষণ অনেকের শরীরেই দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায়।
শ্বাসকষ্ট : করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে অনেকের অক্সিজেনের মাত্রা অনেক কম থাকে। করোনার সময় যে স্যাচুরেশনের মাত্রা কমে যায় তা করোনার পরেও থেকে যায়। জ্যামা এবং ইতালির একদল চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায়ও বিষয়টি উঠে এসেছিল।
ক্লান্তি : শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ক্লান্তিও খুব সাধারণ একটি সমস্যা। করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের শরীরে অনেকদিন ধরে ক্লান্তি থেকে যায়। এতে করে অল্প পরিশ্রম করেও অনেকে ক্লান্ত হয়ে যায় যা থেকে পরবর্তীতে শরীরে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
মানসিক প্রভাব : করোনা নেগেটিভ হলেও অনেকের শরীর অনেকদিন নিস্তেজ থাকে। কোন কিছুতেই মন বসে না। সেই সাথে স্মৃতি ভ্রম হয়। খুব সহজে রেগে ওঠেন এমন আরো কিছু সমস্যা। এসব লক্ষণ থেকে সুস্থ হতে বেশিরভাগ মানুষের অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
দীর্ঘ অসুস্থতার কারণ : করোনা বাইরে থেকে স্বাভাবিক ফ্লুর মত মনে হলেও এটি বুক ও লাংসের ক্ষতি করে। এতে করে সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়। বিশেষ করে যারা হাসপাতালে ভর্তি থাকে তাদের সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে।
প্রতিকার : করোনা পরবর্তী সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিদ্রিং এক্সারসাইজ করা যেতে পারে। এছাড়া মেডিটেশন,ইয়োগা করা যেতে পারে। নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া ঠিক হবে না । নিজেকে সুস্থ হতে সময় দিতে হবে। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া
পূর্বকোণ/এএ