চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আগামী ৮ দশকে তলিয়ে যাবে বাংলাদেশ!

বাসস্থান হারাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মে, ২০১৯ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ

আগামী ৮০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের একটি বড় অংশ সাগরের পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নতুন এক প্রতিবেদন। ‘প্রসিডিংস অব দি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’ নামের জার্নালে এ জরিপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বে কার্বন নির্গমন যেভাবে চলছে তা কমানো না গেলে বাংলাদেশের পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।

গ্রিনল্যান্ড ও এ্যান্টার্কটিকায় জমে থাকা বরফ গলার হার দ্রুততর হওয়াই এর কারণ, বলছেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা যতটা বৃদ্ধি হবে বলে আগে ধারণা করা হয়েছিল আসলে পানির স্তর তার চাইতে অনেক বেশি বাড়বে।

গবেষকরা বলছেন, যদি আগামী কয়েক দশকে কার্বন নির্গমন বড় আকারে কমানো যায় তবে এমন পরিণতি এড়ানোর জন্য এখনো কিছু সময় আছে। নতুন জরিপে বলা হচ্ছে, কার্বন নির্গমন এখনকার হারেই চলতে থাকলে ভবিষ্যতের পৃথিবী এখনকার চাইতে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতর হবে। এতে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বাড়বে ৬২ সেন্টিমিটার থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।

এর ফলে লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ ভূমি সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে – এর মধ্যে থাকবে বাংলাদেশের এক বড় অংশ।বিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশের অনেক এলাকা তখন এমন হয়ে যাবে যে সেখানে লোকজনের বসবাস খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

এতদিন বিজ্ঞানীরা বলছিলেন, ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বাড়বে এক মিটারের কিছু কম । কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ওই হিসেব ছিল অনেক ‘রক্ষণশীল’। নতুন জরিপে বলা হচ্ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে পারে তার প্রায় দ্বিগুণ। এর ফলে ৮০ লাখ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ ভুমি সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে। এর মধ্যে থাকবে বাংলাদের এক বড় অংশ এবং মিশরের নীল নদ উপত্যকা।

এর আগে ২০১৩ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ৫২ থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রীনল্যান্ড ও এ্যান্টার্কটিকায় বরফ গলার প্রক্রিয়ার অনেক দিকই তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এর ফলে বিপন্ন হবে লন্ডন, নিউইয়র্ক এবং সাংহাইয়ের মতো অনেক শহরের অস্তিত্ব। কোটি কোটি লোককে এর ফলে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। যে জায়গাগুলো পানির নিচে চলে যাবে তার অনেকগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ফসল ফলানো অঞ্চল। যেমন নীল নদের বদ্বীপ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট