চট্টগ্রাম বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

সিডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতবিনিময়ে সুজন

আমরা আশ্বাস নয়, কাজের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক হ .........................

১০ মে, ২০১৯ | ১:৪১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন গতকাল বৃহস্পতিবার সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের সাথে মতবিনিময় করেন।
সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থেই একজন রাজনৈতিক নেতাকে সিডিএ’র দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বাণিজ্যকেন্দ্রে রূপান্তরিত হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নে একের পর এক মেগা প্রকল্পের অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতা নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৫৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প একনেক-এ পাস হয়েছে। যা এ যাবতকালের মধ্যে চট্টগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ এবং চট্টগ্রামের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু আমরা আশ্বাস নয়, কাজের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চাই। বাণিজ্যিক রাজধানীতে একটি পরিকল্পিত ট্রাক টার্মিনাল নেই। তাই একটি আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে সিডিএ চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তাছাড়া চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকার সাধারণ জনগণের জন্য দ্বিতলের বেশী ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। তিনি এ বৈষম্য দূর করার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা অফডক টার্মিনালগুলোর যানজটের কারণে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারছে না চট্টগ্রামের যাত্রী সাধারণ। প্রতিদিনই বিমান বন্দরগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ফ্লাইট মিস হচ্ছে। তাই সিডিএ’র এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। লালদিয়ার চরে টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে বলেন, এ টার্মিনাল নির্মাণ হলে হুমকির মুখে পড়বে চট্টগ্রামের আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরটি। তাই তা নির্মাণের পূর্বে বিশিষ্ট ব্যাক্তি এবং নগর পরিকল্পনাবিদদের মতামত নেয়া জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন। চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দাদের জায়গা-জমি হুকুম দখলের নামে বিভিন্ন সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করেছে। ফলতঃ নিজ ভূমে পরবাসী হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দাগণ। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সকল সেবা সংস্থার সমন্বয়ে আলাপ আলোচনা করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষকে একটি জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে খালের মাটি উত্তোলনের কাজ চলছে। খালগুলোকে আরএস সিট মূলে অবৈধ দখলমুক্ত করে পুরাতন অবয়বে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং খালের দুই পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে স্লুইসগেট নির্মাণ, খালের দুই পাশে রাস্তা, ওয়াকওয়ে এবং আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া চাক্তাই থেকে কালুঘাট পর্যন্ত স্লুইচগেটসহ বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ, লালখান বাজার থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন এবং নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজনীতিক মো. ইলিয়াছ, সংগঠনের সদস্য সচিব হোসেন কোম্পানি, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মো. সেলিম, এজাহারুল হক, মো. শাহজাহান, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, শিশির কান্তি বল, স্বরূপ দত্ত রাজু, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, সরওয়ার্দী এলিন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মনিরুল হক মুন্না, হাসান মুরাদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট