চট্টগ্রাম সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাজেরা তজু কলেজে অস্থিরতা ৩ কারণে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম শহরের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজ। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এই কলেজে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও মানববন্ধন, কলেজটির সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম আইয়ুবের মৃত্যু এবং আট শিক্ষককে বরখাস্তকে কেন্দ্র করে কলেজটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

 

শিক্ষার পরিবেশ ও কলেজের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংকট সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-শিক্ষকদের হয়রানি এবং আটজন শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বরখাস্তের প্রতিবাদে’ এই ব্যানারে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ’।

 

কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেতন কমানো, আইডি কার্ড প্রদান করাসহ চার দফা দাবিতে গত ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী। ২৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্র লিখে জোর করে কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম আইয়ুবকে সই করানো হয়। সেদিনই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩৩ বছর ধরে ওই কলেজে শিক্ষকতা করা এই অধ্যাপক। সেদিনের পর থেকে আর কলেজে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেননি তিনি।

 

এরপর গত ২৩ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রসায়নের অধ্যাপক এস এম আইয়ুব (৫৯) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে, একদল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অধ্যাপক এস এম আইয়ুবের মৃত্যুর জন্য বরখাস্ত হওয়া আটজন শিক্ষককে দায়ী করছেন। তারা এর জের ধরেই আট শিক্ষককে বরখাস্তের জন্য কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। এরপর গর্ভনিং বডি তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

গত ২৪ নভেম্বর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। বরখাস্ত হওয়া একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, অধ্যাপক এস এম আইয়ুবের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একদল শিক্ষক সুযোগ নিচ্ছে। তারা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে চাপ প্রয়োগ করে আমাদের আটজন শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করেছে। বিভিন্ন সময় আমাদের হয়রানি করা হয়েছে।

 

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন দাশ বলেন, আমার স্বাক্ষরে আট শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেটা ঠিক। তবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত আমার না। কলেজের এডহক কমিটির পক্ষ থেকে আমাকে বরখাস্তের চিঠিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে, আমি স্বাক্ষর করেছি।

 

কলেজের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কলেজে সম্প্রতি বিভিন্ন ঝামেলা হচ্ছে। আমরাও চাই এসব ঝামেলা শেষ করে দ্রুত কলেজে সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসুক। কলেজের অস্থিরতা দূর করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

এ সম্পর্কে জানতে হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসাইনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল এবং ক্ষুদে বার্তা দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট