চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি টাকা

কাল ফ্লাইওভারের নিচে ঈদগাহ ও জানাজার স্থান উদ্বোধন

মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুন, ২০২৪ | ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

২ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকায় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে তৈরি হয়েছে ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থান। ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫২ ফুট প্রস্থের এই ঈদগাহে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন প্রায় দুই হাজার মুসল্লি। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এটির উদ্বোধন করবেন।

 

 

এছাড়া ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থানের চারপাশে থাকছে ওয়াকওয়ে, বসার স্থান, ওজু ও টয়লেটের ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি সেখানে লাশ ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মুরাদপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থান নিয়ে দীর্ঘদিনের সংকট নিরসন করতেই চসিক এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়। তবে নামাজ আদায়ের আগে-পরে ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার জন্য নির্ধারিত এই অংশকে দখলমুক্ত রাখার পাশাপাশি পথচারী পারাপারের বিষয়টিও নজরে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

 

 

ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থান তৈরির দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাহিম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নুরুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থানের চারপাশে ওয়াকওয়ে, বসার স্থান, ওজুখানা ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও সেখানে থাকছে লাশ ধোয়ার ব্যবস্থা, স্টোর রুম। নামাজে জানাজা এবং ঈদের নামাজ ছাড়াও অন্যান্য সময় যাতে লোকজন সেখানে হাঁটতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল মেয়র এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

 

 

মোহাম্মদপুর এলাকার খাজা ভিলার স্বত্বাধিকারী হোসাইন পারভেজ বলেন, এলাকায় ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার জন্য কোন স্থান না থাকায় অনেক সময় সড়কে নামাজ আদায় করতে হতো। এর ফলে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতো, অন্যদিকে মানুষের ভোগান্তি বাড়তো। তাই চসিকের এমন কাজকে আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। এছাড়া নামাজ আদায় করতে আসা লোকজন যাতে নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে সেজন্য এই অংশে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পাশাপাশি এগুলো যাতে কেউ দখল করতে না পারে সেই ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

 

 

জানতে চাইলে নগরীর ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী বলেন, মোহাম্মদপুর ও মুরাদপুর এলাকা মিলে ১২ হাজার ভোটার এবং প্রায় ৫০ হাজারের মতো লোকজন বসবাস করছে। এ তুলনায় সেখানে পর্যাপ্ত মসজিদ নেই। তাই নামাজে জানাজা ও দুই ঈদের নামাজের সময় সড়ক বন্ধ করে নামাজ আদায় করতে হতো। এসব চিন্তা করে আমরা সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করে ফ্লাইওভারের নিচের এই অংশটিকে ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থান হিসেবে ব্যবহার করি। সম্প্রতি মেয়র আমাদের স্থানটিকে স্থায়ীভাবে ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছেন।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট