চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

দরপত্র বাতিল করতে ৮২ জন ঠিকাদারের আবেদন

খাদ্য বিভাগের ‘বিরল টেন্ডার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১২:১০ অপরাহ্ণ

হ্যান্ডলিং সংক্রান্ত দরপত্রের পূর্বের নিয়ম পরিবর্তন করে প্রথমবারের মতো এসটিডি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে খাদ্য বিভাগ। একটি বিশেষ গ্রুপকে কাজ দেয়ার জন্য খাদ্য বিভাগ এমন ‘বিরল টেন্ডার’ আহ্বান করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা।

জানা যায়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম কর্তৃক ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৬টি এলএসডি খাদ্যগুদামের দুই বছরের জন্য শ্রম ও হস্তার্পণ (হ্যান্ডলিং) ঠিকাদার নিয়োগের আহ্বান করা হয়। হ্যান্ডলিং সংক্রান্ত দরপত্রের পূর্বের নিয়ম পরিবর্তন করে প্রথমবারের মতো এসটিডি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১০০ নম্বর ভিত্তিক উক্ত দরপত্রে প্রতিটি ২০ নম্বর করে ৫টি মানদ- নির্ধারণ করা হয়।

 

দরপত্রের ‘অতীত কার্য সম্পাদনের উৎকর্ষতা নির্ধারণ সংক্রান্ত ফরমে’ মানদ- ৩ এবং ৪-এ যে বিশেষ শর্ত আরোপ করা হয়েছে তার শতভাগ হাসান এন্ড কোং, আসাদ ট্রেডিং, তানজিলা এন্টারপ্রাইজ এবং রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজের নেতৃত্বে আরও ২-৩ জনের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপ ব্যতীত অন্য কোন ঠিাকাদারের নেই।

 

খাদ্য বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী টাকার বিনিময়ে বিশেষ গ্রুপকে কাজ দিতে খাদ্য বিভাগ এসটিডি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে- এমন অভিযোগ এনে ৮২ জন ঠিকাদার ওই দরপত্র বাতিল করতে খাদ্যমন্ত্রী, খাদ্য সচিব এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন।

 

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমরান এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী এসএম আবু মনসুর বলেন, ২৭ বছর ধরে আমরা খাদ্য বিভাগের সাথে ব্যবসা করছি। এ ধরনের অভিনব টেন্ডার কখনও দেখিনি। রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ গ্রুপ দেশের ৬৪ জেলার ৮০০’র অধিক হ্যান্ডলিং ঠিকাদারের রুজি-রোজগারে হস্তক্ষেপ করেছে। আমরা ৮২ জন ঠিাকাদার এই দরপত্র বাতিল করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

 

খাদ্য বিভাগের একাধিক ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গুটিকয়েক কর্মকর্তা গুদাম প্রতি ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে পরস্পর যোগসাজশে চট্টগ্রামের ১৬টি গুদামের হ্যান্ডলিং ঠিকাদারি কাজ একটি বিশেষ গ্রুপকে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। দরপত্রের পূর্বের নিয়ম পরিবর্তন করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে প্রথমবারের মতো এসটিডি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ফলে উক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করেও ১১২ জন ঠিকাদার কাজ না পাওয়ার বিষয়টি এক প্রকার নিশ্চিত। এই অনিয়ম নিয়ে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও টেন্ডার কমিটির সভাপতি সুমাইয়া নাজনীন এবং সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও টেন্ডার কমিটির সদস্য সচিব মো. ফখরুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট