চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সিসিটি-এনসিটি’র বাড়তি স্লট দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জুন, ২০২৩ | ১২:১৬ অপরাহ্ণ

রপ্তানির জন্য বেসরকারি আইসিডিগুলোতে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার অপেক্ষামান রয়েছে। ঈদের আগে এসব রপ্তানি পণ্যের চাপ কমাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ও এনসিটি ইয়ার্ডে অন্তত ১৫শ টিইইউস কনটেইনারের জায়গা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বেসরকারি আইসিডিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো এসোসিয়েশন (বিকডা)।

 

গত রবিবার (২৫ জুন) চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে পাঠানো এক চিঠিতে অধিকতর আয়তনের এক্সপোর্ট শ্লট প্রদানের অনুরোধ জানান সংগঠনের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান।

 

চিঠিতে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদ-উল-আজহার আগে বেসরকারি আইসিডিগুলোতে রপ্তানি পণ্য ও পণ্যবাহী কনটেইনারের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ঈদের ছুটির কারণে এবং ঈদের পরে বেশ অনেকদিন রপ্তানিপণ্য উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রাখার কারণে রপ্তানিকারকগণ তাদের রপ্তানি পণ্য শিপমেন্টের অনেক আগেই আইসিডিগুলোতে পাঠিয়ে দেন। ফলে আইসিডিগুলোতে এই সময়ে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

 

বর্তমানে আইসিডিগুলোতে প্রায় ১৫ হাজার টিইইউস রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার রয়েছে। যার বিশাল একটি অংশ ঈদের পূর্বেই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে জাহাজীকরণ করা হবে। এছাড়াও অফডকগুলোতে প্রায় ৭ হাজার ২শ টিইইউস আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার এবং প্রায় ৫০ হাজার টিইইউস খালি কনটেইনার রয়েছে।

 

তবে চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি-এনসিটি এলাকায় অপেক্ষাকৃত বড় কনটেইনার জাহাজ বার্থ নেই এবং সেই তুলনায় এখানে জাহাজে লোডিং-এর পূর্বে রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার রাখার স্থান অপ্রতুল। তাই সিসিটি-এনসিটি এলাকায় অধিকতর আয়তনের এক্সপোর্ট স্লট বা রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার রাখার স্থান বরাদ্দ দেওয়া সময়ের দাবি।

 

এ অবস্থায় ঈদ-উল-আজহার আগের দিন পর্যন্ত জাহাজে লোডিং-এর পূর্বে রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার সংরক্ষণের জন্য সিসিটি-এনসিটি এলাকায় আরো অন্তত ১৫শ টিইইউস কনটেইনার রাখার স্থান প্রদানের জন্য বন্দর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছে আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডা। এতে বেসরকারি আইসিডিগুলোর অভ্যন্তরে কনটেইনারের জট হ্রাস পাবে এবং আইসিডিগুলোর অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে।

 

উল্লেখ্য, বেসরকারি আইসিডিগুলো দেশের প্রায় ১০০% রপ্তানি পণ্য ও পণ্যবাহী কনটেইনার এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে কনটেইনারে পরিবাহিত ৩৮ ধরণের আমদানি পণ্য ও পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। এছাড়াও বিশাল ভলিউমের খালি কনটেইনার তাদের ইয়ার্ড ও শেডসমূহে সংরক্ষণ ও হ্যান্ডলিং করে থাকে। যার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনারের চাপ অনেকাংশেই কমে যায়।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট