ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ভূমিকা পর্যালোচনা করতে গেলে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান স্মরণ করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দীর্ঘদিন ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওই অমূল্য অবদানকে সচেতনভাবে আড়াল করা হয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে কয়েক যুগ ইতিহাস বইগুলোয় ভাষা আন্দোলনের আলোচনায় কোথাও বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করেনি। অথচ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন।তাই ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অমর একুশে বই মেলায় লেখক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী এসব বলেন।
কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। প্রধান আলোচক ছিলেন এবার কবিতায় বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি আসাদ মান্নান, আলোচক ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি শুকলাল দাশ ও কবি কামরুল হাসান বাদল।
কবি আসাদ মান্নান বলেন, আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা বা জাতি গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উপাদানটি হলো রাষ্ট্র ভাষা-আন্দোলন। বাংলাদেশ নামে একটি স্বতন্ত্র, স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ওতপ্রতোভাবে জড়িত। লেখক, কবি সাহিত্যিকদের আকাশের মতো উদার ও সমুদ্রের মতো গভীর এবং মানবিক হতে হবে। দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ, জনগণের মালিকানা সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে হলে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হাতিয়ার গোলাবারুদের চেয়ে লেখকদের কলম বেশি ধারালো, তাই প্রত্যেক কবি সাহিত্যিককে সেই ধারালো কলমের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ