চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আগামীর নগরপিতা ও কাউন্সিলরগণের কাছে প্রত্যাশা

অধ্যাপক ইমরান বিন ইউনুস 

২৬ জানুয়ারি, ২০২১ | ১:৫৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আর কয়েক ঘণ্টা পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামীর নগরপিতা আর কাউন্সিলরদের সমীপে এই নগরের প্রায় সর্বস্তরের পেশার মানুষের প্রত্যাশা প্রতিদিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। জ্ঞানী গুণীজন, নবীন, কর্মজীবী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীগণসহ এই জনপদের আনাচে কানাচের অনেকেরই অনেক ধরণের প্রত্যাশা পত্রিকার পাতায় ফুটে ওঠেছে। প্রায় সকলেরই  প্রত্যশা  সুযোগ সুবিধা, স্থাপনা, পরিবেশ রক্ষা, জনবান্ধবতা, যোগাযোগ উন্নতি, ট্যাক্স, ইচ্ছাপূরণ ইত্যাদির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। অতীতের মেয়রগণও তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। উনাদের সময়কালে যা উপেক্ষা করা হয়েছে সেগুলোই এখন তাদের প্রত্যাশা।

আমার কাছে মনে হচ্ছে এসব প্রত্যাশার নির্ঘন্টে মুখ্য একটা ব্যাপার উপেক্ষিত হয়েছে। তাহলো- ‘সুনাগরিক’ করার প্রচেষ্টা। জাতিগতভাবে আমাদের কিছু বদ্ধমূল আচরণ, অভ্যাস ও বিশ্বাস আছে। এগুলো হলো, অসহিষ্ণুতা, অসততা, অসৌজন্যতা, অদম্যতা, অসতর্কতা, অসংযমতা, অবাধ্যতা, অসভ্যতা। যতোসব ‘অ’। রাস্তায় চলাচল থেকে শুরু করে প্রায় সব মিথষ্ক্রিয়ায়।

আমাদের সমস্যা অনেক। সুনাগরিক হতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। অনেক সমস্যা সহজতর হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চরম সংকটে সুনাগরিক হওয়ার কারণে ব্রিটেনবাসী সুশৃঙ্খলভাবে সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পদ ত্যাগ আর ভাগাভাগি করে টিকে ছিল। সুনাগরিক হলে রাস্তার যানজটসহ অনেক সমস্যা লাঘব হবে। সবকিছু নষ্টদের হাত থেকে অবমুক্ত হবে। সুনাগরিক হওয়ার প্রথম সোপান হলো শিক্ষাকে দীক্ষাতে রূপান্তর করা।

আমার এক স্কুল শিক্ষক বলতেন ‘আলো দিয়ে অন্ধকার তাড়ানো যায়, কিন্তু অন্ধকার দিয়ে আলো আনা যায় না’। তাই আগামী মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের নিকট প্রত্যাশা, চট্টগ্রামের জনগণকে সুনাগরিকে রূপান্তর করার সব প্রচেষ্টাই তারা নিয়োগ করবেন। আগামীর আগমনী আমাদের সুনাগরিকে পরিণত করুক, নাগরিক হিসেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট