
গাজা থেকে প্রথম পর্যায়ে সাতজন ইসরাইলি জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে জিম্মিদের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রসের জিম্মায় দেওয়া, তারপর রেড ক্রস তাদের ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
আইসিআরসি জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা জিম্মি বা বন্দি মুক্তির সময় কোনো ফুটেজ সরবরাহ করবে না।
এই জিম্মিদের ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে রেডক্রস। এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে সাতজন জিম্মিকে হস্তান্তরের কথা নিশ্চিত করেছে হামাসও। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে সাত জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা হলেন-যমজ সন্তান গালি এবং জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাংরেস্ট, অ্যালোন ওহেল, ওমরি মিরান, এইতান মোর ও গাই গিলবোয়া-দালাল।
এদিকে জিম্মি মুক্তির খবরে তেল আবিবের হোস্টেজেস স্কয়ারে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন হাজারো ইসরাইলি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্তির খবরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন, গান গাইছেন এবং কেউ কেউ ইসরাইলের পতাকা উড়াচ্ছেন।
অপরদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিশাল জনতা জড়ো হচ্ছে। সেখানে শিগগিরই নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে শত শত মুক্ত ফিলিস্তিনি পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বন্দি বিনিময়ের জন্য মোট ২০ জন ইসরাইলি জিম্মির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। বর্তমানে হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে এখনো এই ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর