
গণপরিবহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পুনর্বিবেচনাসহ ৪ দফা দাবিতে আগামী ২০ জুলাই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। শনিবার নগরীর কদমতলী এলাকায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় ২০ জুলাই সকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন।
সভায় বক্তারা বলেন, গত ১৯ জুন মহাসড়ক বিভাগ মোটরযানের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে বাস-মিনিবাসের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২০ বছর ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য আলাদা সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ৩ হাজারের বেশি বাস, ৫ হাজারের বেশি পণ্যবাহী যান বন্ধ হয়ে যাবে।
তারা বলেন, গত ৩০ জুন সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হলেও তা বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তাই চারটি জরুরি দাবি সামনে এনে আগামী ২০ জুলাই সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও তারা বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যন্ত্রাংশের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবহন মালিকরা এমনিতেই দিশেহারা। এই অবস্থায় প্রজ্ঞাপনটি বাস্তবায়িত হলে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাছাড়া এতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় জনসাধারণের ভোগান্তির সৃষ্টি হবে।
পরিবহন নেতাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে গণপরিবহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পুনঃনির্ধারণ, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন, আরোপিত আয়কর প্রত্যাহার এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে পরিবহন খাতকে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধ করা। দাবি মেনে নেওয়া না হলে গণ ও পণ্যপরিবহন খাত অচলের দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি একরামুল করিম, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মোরশেদুল আলম কাদেরী, মৃণাল চৌধুরী, অলি আহম্মদ, শওকত আলী, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, আজম খান, রবিউল মওলা, মো. মুসা, খোরশেদুল আলম, মহিউদ্দিন, ফারুক খান, মো. জাফর, সৈয়দ হোসেন, আনিসুজ্জামান সোহেল, নুর ইসলাম, মো. হাবীব, রেজাউল করিম, মো. শাহজাহান প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ