দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দাম কমেছে আদা, রসুন আর পেঁয়াজের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি চার থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে এই তিন পণ্যের। গতকাল বুধবার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গেল মে মাসের শুরুতে কেজিপ্রতি ৭০ টাকার কম পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছিল পেঁয়াজ। সেসময় পণ্যটির ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ৫৫০ ডলার বেধে দেয় অন্যতম বড় রপ্তানিকারক ভারত। সেসময় পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কও আরোপ করে দেশটি। এতে ভারত থেকে আমদানি হলেও রাতারাতি দেশের বাজারে ৯০ টাকা পেরিয়ে যায় পণ্যটির দাম। এরপরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম
বেড়ে সোয়া একশ টাকায় পৌঁছে যায়। শুল্ক ও ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের শর্তে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ায় চলতি অর্থবছরের শুরুতে পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তবে এরমধ্যে গেল মাসে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য তুলে নেওয়ার পাশাপাশি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে ভারত। এতে ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির দিকে ঝুঁকে ব্যবসায়ীরা। পণ্যটির দাম কমে খাতুনগঞ্জে। বুধবার (গতকাল) খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ৯২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা কেজি দরে।
খাতুনগঞ্জে দাম কমেছে আদা-রসুনেরও। গত সপ্তাহে পাইকারিতে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া রসুন এখন ১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে অন্তত ১০ টাকা। একই সময়ে কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে আদার দাম। গত সপ্তাহে ২৫৫ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হওয়া আদা এখন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খাতুনগঞ্জে। এই তিন পণ্যের দাম কমার বিষয়ে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, দাম হ্রাস-বৃদ্ধি নির্ভর করে সরবারহের ওপর। এখন পেঁয়াজ মোটামুটি আমদানি হচ্ছে, দামও কমতির দিকে। তাই এখানেও দাম কমেছে। আদা-রসুনেরও একই অবস্থা, আমদানি খরচ কমলে এখানেও দাম কমে।
এদিকে বাড়তে থাকা পামতেলের দাম দুইদিনের ব্যবধানে আরও আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা বেড়েছে। দু’দিন আগে খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে টনপ্রতি ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পামতেল বুধবার ৫ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব