চট্টগ্রাম রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

অফডকের ৩৮ পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

বিশ্বের কোন বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার খুলে পণ্য ডেলিভারি প্রথা চালু না থাকলে চট্টগ্রাম বন্দর এখনও চলছে সেই প্রাচীন প্রথায়। বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের থেকে বন্দরের এই কনটেইনার খুলে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ করা এবং সব ধরনের এলসিএল পণ্য বন্দরের বাইরে নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই।

 

 

অথচ খোদ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতেই অফডকগুলোর জন্য নির্ধারিত ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য বন্দরের ভেতর থেকে ডেলিভারি নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। দ্বৈত এই ডেলিভারির প্রথা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গত কয়েক বছর ধরেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমতি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এ কে এম খায়রুল বাসার এক চিঠিতে অফডকগামী ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য বন্দরের অভ্যন্তর হতে ডেলিভারি নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সময় দেওয়া হয়েছে।

 

 

এর আগে ওই ৩৮ ধরনের পণ্য বন্দরের ভেতর থেকে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতেই দ্বৈত ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও এই দ্বৈত ডেলিভারির বিরোধিতা করে অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা’র মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, যেখানে সবাই বন্দরের ভেতরে কনটেইনার পণ্য খুলে ডেলিভারি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে, সেখানে অফডকের জন্য নির্ধারিত ৩৮ ধরনের পণ্য বন্দরের ভেতরে খুলে ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। তাহলে বন্দরের ভেতরে যেসব পণ্য খুলে ডেলিভারি দেওয়া হয় সেগুলোও দ্বৈত ডেলিভারি নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। আমদানিকারক নির্ধারণ করুক তারা কি বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে চায় নাকি বন্দরের বাইরে অফডক থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে চায়।

 

 

তিনি আরো বলেন, এই ধরনের অনুমতি দেওয়ার আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিকডাসহ স্টেকহোল্ডাদের সঙ্গে সভা করতেন। মতামত শুনতেন। তবে এখন আর সেটিরও প্রয়োজন মনে করেন না। একতরফাভাবে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতেই দ্বৈত অনুমতি দিয়ে দিচ্ছেন।

 

 

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট