চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি, বাড়তি দাম সবজিরও

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

মুরগি ও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা এবং সোনালী মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা কেজিপ্রতি দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তবে দাম নির্ধারণ করা হলেও বন্দরনগরে বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম-মুরগি। বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রতি পিস ডিম দেড় থেকে দুই টাকা ও প্রতিকেজি মুরগি ১৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। শুধু মুরগি-ডিম নয়, নগরে বাড়তি দাম সবজিরও। পেঁপে-মিষ্টি কুমড়া ছাড়া ৫০ টাকার কম দামে মিলছে না কোন সবজি।

 

 

গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর অক্সিজেন, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি, রিয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, আগ্রাবাদ চৌমুহনীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি পিস ডিম ১৩ থেকে ১৫ টাকা, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯৫ টাকা এবং প্রতিকেজি সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোদ সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দৈনিক বিভাগীয় বাজারদর অনুযায়ী, গতকাল চট্টগ্রাম নগরে প্রতি পিস ডিম সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক দামের চেয়ে সাড়ে সাত টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ ও সোনালী মুরগির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখছেন ব্যবসায়ীরা।

 

ভোক্তারা বলছেন, আগের মতো দাম বেঁধে দিয়েই দায় সেরেছে সরকার। যথাযথ তদারকির অভাবে বেঁধে দেওয়া দাম মানছেন না ব্যবসায়ীরা। কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করেই চুপ হয়ে গেছে। দাম নির্ধারণের পর সেটা বাস্তবায়নেও তড়িৎ পদক্ষেপ জরুরি। এটা বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে এই বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আমরা কাজ করছি, বাজার তদারকি অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু আমাদের লোকবল কম, আমরা চেষ্টা করছি উৎপাদক পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি ও পরিবেশকসহ সবধরনের ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ নিশ্চিত করতে। এটা হলে বাড়তি দামে বিক্রি বন্ধ হবে।

 

এদিকে, নগরে বাড়তি দাম সবজিরও। নগরীর বাজারগুলোতে পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, লাউ ৫০-৬০, আলু ৫৫, পটল, কচু ও শসা ৬০, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও বাঁধাকপি ৭০, বরবটি ও কাঁকরোল ৮০, ঝিঙে ও বেগুন ৯০, করলা ১০০, টমেটো ১৬০ এবং কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এর বাইরে পেঁয়াজ ১১০ ও রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দাম মাছেরও। নগরে পোয়া ৩০০, নারকেলি ২৪০, লইট্টা ২০০, রুই ৩৮০, কাতল ৩২০, পাঙাশ ১৭০-২০০, তেলাপিয়া ২০০-২২০ এবং পাবদা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। বন্দরনগরে গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ৫৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

পূুর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট