ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য এসব অস্ত্র দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একটি বিমানে করে এসব মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধের সময়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড স্ট্রাইক গ্রুপও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ করে। এরপর থেকে দুই পক্ষের সংঘাত চলছেই। চলমান এই সংঘাতে ইতোমধ্যে ৯ শতাধিক ফিলিস্তিনি এবং ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। হামাসের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, জাকারিয়া আবু মুয়াম্মার ও জাওয়াদ আবু শামাল।
অন্যদিকে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলিকে আটক করেছে বলে দাবি করছে। সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েলের কারাগারে যত বন্দী রয়েছে তাদের সবাইকে ছাড়ানোর জন্য এটা যথেষ্ট।
আপাত দৃষ্টিতে খুব শিগগিরই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই সংঘাত থামার আশঙ্কা নেই। কারণ হামাস জানিয়েছে, তারা তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন হয়। অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও শক্তিশালী আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
পূর্বকোণ/এসি