ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে হামাস। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ২২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের ভেতর অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৫৪৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এসব রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস। বড় ধরনের এই হামলার পর যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সামরিক যান জব্দ করে তা গাজার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রায় ৪০ জনের মতো ইসরায়েলি সেনাকে গ্রেপ্তার করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এই অভিযানে হামাসের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের আরেক স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামিক জিহাদ।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে পাল্টা অভিযানের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। সশস্ত্র বাহিনী বলছে, হামাসকে এ ঘটনার দায় এবং পরিণতি বহন করতে হবে।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুধু রকেট হামলাই নয়, হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশও করেছে। হামলায় এক ইসরায়েলি নারীও নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ বলেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।’
বড় ধরনের এই রকেট হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ হিসেবে ঘোষণা করে আল-ক্বাসাম ব্রিগেডপ্রধান বলেন, ‘আমরাই আগে হামলা চালিয়েছি।’
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ