চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার। ৬ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রিটার্নিং অফিসারের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ভোটারের এক-শতাংশ স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। সমর্থনসূচক এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মিল না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরমান আলী ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থী চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করা হবে।
তবে আপিলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান মো. আরমান আলী।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সামসুল আলম, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দীপক কুমার পালিত ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।
আগামী ৩০ জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিনের মৃত্যুর কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
ঘোষিত তফসিল মতে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। আপিল দায়ের ৭ থেকে ৯ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ জুলাই। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুলাই।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে ৪ জুন ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডা. আফছারুল আমীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে টানা তিনবার (২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সাল) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
পূর্বকোণ/এসি