বিনা ভাড়ায় প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত আম-লিচু ঢাকার পাইকারি বাজারে পৌঁছে দিচ্ছে ডাক অধিদপ্তর। দেশব্যাপী ডাকঘরের বিশাল পরিবহন নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এ সেবা দিচ্ছে সরকারি সংস্থাটি। এ কর্মসূচির আওতায় আজ মঙ্গলবার (২ জুন) থেকে রাজশাহী অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত আম পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ঢাকার বেইলি রোডের তার সরকারি বাসভবন থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের এই আয়োজনে রাজশাহীর ডিসি মো. হামিদুল হকের সঞ্চালনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র রাজশাহীতে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ম. শেফায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক তথ্যবিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ম. শেফায়েত হোসেন জানান, এসব মৌসুমি ফল ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন মেগা শপ ও পাইকারি বাজারে বিপণন করা হবে। বিক্রয়লব্ধ টাকা কোনও মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সংশ্লিষ্ট পৌঁছে যাবে কৃষকের হাতে। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে নিয়োজিত ঢাকা ফেরত গাড়িগুলো বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের পণ্য পরিবহন করবে। এতে সরকারের বাড়তি কোনও খরচেরও প্রয়োজন হবে না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যায়ক্রমে মধুপুর থেকে আনারস পরিবহন কার্যক্রম চালু করা হবে। করোনা সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা সহজ করতে সরকার গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে। এছাড়াও বিনা মাশুলে করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছানোসহ জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন ডাক সেবা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ ডাক সেবা চালু করা হয়।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র বলেন, ডাক বিভাগ কৃষকের স্বার্থরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এই উদ্যোগ সফল করতে বদ্ধপরিকর।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক বলেন, বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের আম পরিবহনে সরকারের এই উদ্যোগ এই অঞ্চলের প্রান্তিক আম চাষীদের জন্য খুবই সহায়ক একটি কর্মসূচি।
পূর্বকোণ/আরপি