চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

গ্রিন লাইনের আচরণে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মে, ২০১৯ | ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশনা দেওয়ার পরেও তা পরিশোধ না করায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। প্রাইভেটকারের চালক রাসেল সরকারের ক্ষতিপূরণ বাবদ বাকি ৪৫ লাখ টাকা দ্রুত প্রদানেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার আদালতের আদেশ প্রতিপালনের বিষয়ে শুনানিকালে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আদালত। এ সময় আদালত বলেন, আদেশ যদি বাস্তবায়ন না করেন তবে কী করতে হয় তা আমরা জানি। এ ছাড়া চিকিৎসা খরচও দেবেন। আপনাদের ব্যবসা কি বন্ধ হয়ে গেছে? তাতো না। ব্যবসা চলছে। তাহলে কি আমরা রিসিভার নিয়োগ করে দেব?

এর আগে রাসেলকে ৪৫ লাখ টাকা (অন্তত আংশিক) পরিশোধে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ২ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ক্ষতিপূরণ বাবদ বাকি ৪৫ লাখ টাকার মধ্যে কোনো টাকা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেন, আমাদের উদারতাকে নমনীয়তা মনে করবেন না। আমরা আমাদের ব্যবস্থা নেব। যেটা করা দরকার সেটাই করব।

গত বছর ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

ওই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ১৪ মে রুল জারি করেন। রুলে কেন রাসেলকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। সেই রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ১২ মার্চ এক রায়ে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে রাসেলের চিকিৎসা-সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়। পরে এ নিয়ে আরও কয়েক দফা আদেশ হয়েছে। এসব আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ৪ এপ্রিল হাইকোর্ট ১০ এপ্রিলের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাসেল সরকারের অনুকূলে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। অন্যথায় ১১ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতের আদেশের পর এককালীন ৫ লাখ টাকা ও চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ টাকা দিয়েছে গ্রিনলাইন। বাকি ৪৫ লাখ টাকা একমাসের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও আর কোনো টাকা দেয়নি।এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২২ মে নির্ধারণ করেন। এ সময়ের মধ্যে রাসেলে বাকি টাকাও প্রদানের জন্য  গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে বলেছেন আদালত।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট