চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, আজ মিনায় যাবেন হাজিরা

সৌদিআরব প্রতিনিধি

১৩ জুন, ২০২৪ | ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র হজ পালন করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৌদি আরবের মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন আজ বৃহস্পতিবার। মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনা। মিনায় কেউ যাবেন গাড়িতে, কেউবা হেঁটে। হজের অংশ হিসেবে তারা ৭ থেকে ১২ জিলহজ মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় অবস্থান করবেন।

 

আজ বৃহস্পতিবার এশার নামাজ আদায় করে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ছয়দিন পর আবার হাজিরা বাসায় ফিরবেন। তাই মিনায় থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে হবে। পুরুষ হাজিরা মক্কার বাসায় অজু-গোসল সেরে সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় পরে হজের নিয়ত করবেন। মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ।

 

 

এদিকে, এ বছর হজ মৌসুমে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ আল-আবদুল আলি। এ সময় তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪৫ থেকে ৪৮ সেলসিয়াসের মধ্যে।

 

 

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এ সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। শরীরে ক্লান্তি ও তাপের প্রভাব কমাতে হজের নিয়মাদি পালনের সময় বিশ্রাম নিতে হবে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও হজযাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানান ডা. আল-আবদুল আলি।

 

অন্যদিকে, প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কখন মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দেওয়া হয়েছে মিনার তাঁবু নম্বর সম্বলিত কার্ড। ওই কার্ড সবসময় গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হয়। একইভাবে মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতে কীভাবে কখন রওনা হবেন তাও জানিয়ে দেওয়া হয় আগেভাগে।

 

তবে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে হজ পালন করতে হয়। আগামীকাল শুক্রবার ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর তারা যাবেন মিনা থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মুসল্লিরা মিনা থেকে পায়ে হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে করে আরাফাতে পৌঁছাবেন। ধবধবে সাদা ইহরাম পরিহিত মুসল্লিরা এদিন ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।

 

 

শনিবার আরাফাতের ময়দান থেকে মুসল্লিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই রওনা দেবেন ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। এখানে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন তারা। তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। পাথর নিক্ষেপের সময় যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ হাজিদের ভাগ ভাগ করে জামারাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।

 

 

রবিবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবার ফিরে আসবেন মিনায়। জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা।

 

হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যারা আগে মদিনায় যাননি তারা মদিনায় যাবেন। সেখানে হাজিরা সাধারণত ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। পরে শুরু হবে হাজিদের দেশে ফেরার পালা। হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের সকল সশস্ত্র বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট