ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব ছাড়ছেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস মেগান মার্কেল। এক বিবৃতিতে তারা এ দায়িত্ব থেকে সরে এসে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই বেদনাদায়ক ঘোষণায় দম্পতি বলছেন, তারা উত্তর আমেরিকায় বসবাস করবেন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘ-প্রতিষ্ঠিত সম্পর্কচ্ছেদও ঘটাবেন।
রানি, প্রিন্স উইলিয়াম কিংবা রাজপরিবারের কোনও সদস্যকে না জানিয়ে হঠাৎ করে হ্যারি ও মেগানের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন রাজপরিবারের সদস্যরা।
গত অক্টোবরে গণমাধ্যমের নজরদারির মধ্যে থাকতে থাকতে জীবন বিষিয়ে ওঠার কথা জানান হ্যারি-মেগান। এর তিন মাসের মাথায় বুধবার বিবৃতি দিয়ে ও ইনস্টগ্রামে পোস্ট দিয়ে রাজপরিবার ছাড়ার কথা জানালেন তারা।
বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান বলেন, ‘আমরা রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে চাইছি। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করতে চাই। পাশাপাশি মহামান্য রানির প্রতি আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।’
তাদের এ ঘোষণায় রাজপরিবার বিস্মিত হয়েছে।
রানি, কমনওয়েলথ ও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান রেখেই যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে তারা সময় ভাগ করে নিতে চান বলেও জানান এই দম্পতি।
সন্তান আর্চির বেড়ে ওঠার পাশাপাশি নতুন একটি দাতব্য সংস্থা খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘এই ভৌগোলিক ভারসাম্য’ সহায়ক হবে বলে যুক্তি দিয়েছেন তারা।
বিবিসির রয়্যাল করেসপনডেন্ট জনি ডায়মন্ড লিখেছেন– হ্যারি-মেগানের ওই ঘোষণা বাকিংহাম প্রসাদকে বেশ বড় ধাক্কাই দিয়েছে। রাজপরিবার তাদের সিদ্ধান্তের কারণে যতটা না আহত হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি আহত হয়েছে তারা যেভাবে আলোচনা না করে ওই ঘোষণা দিয়েছেন- তা নিয়ে।
বাকিংহাম প্রাসাদের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, হ্যারি-মেগান যে আলাদা জীবন চাইছেন, সেটি তারা বুঝতে পারছেন। তবে এখানে জটিল অনেক বিষয় আছে, আর তার সমাধান করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
পূর্বকোণ/পিআর