নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করা ব্রেন্টন ট্যারান্ট অবশেষে দোষ স্বীকার করল। তার বিরুদ্ধে ৫১ জনকে হত্যা, আরও ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা এবং একটি সন্ত্রাসবাদে অভিযোগ ছিল। সবগুলোই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ক্রাইস্টচার্চের আদালতে ব্রেন্টন তার দোষ স্বীকার করেন। করোনার কারণে বর্তমানে লকডাউন অবস্থায় রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাই আদালতে সাধারণ কোনো জনতাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং হামলাকারী ব্রেন্টন ও তার আইনজীবীরা ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে এ শুনানিতে অংশ নেন। তবে আদালতে দুই মসজিদে হামলায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে একজন উপস্থিত ছিলেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।
বিচারক ম্যান্ডার আদালতে বলে, ‘এটা দুঃখজনক যে, কোভিড-১৯-এর বাধার কারণে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।’
বিবিসি জানিয়েছে, ব্রেন্টনের বিরুদ্ধে আনীত ৯২টি অভিযোগের শাস্তি খুব শিগগিরই শোনানো হবে। এর আগে আগামী ১ মে পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে তাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ফেসবুকে লাইভ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালান ব্রেন্টন ট্যারান্ট। জুমার নামাজ চলাকালে মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত এই হামলা চালান তিনি। ভিডিও গেমসের ন্যায় একের পর এক মুসল্লিকে গুলি করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন ব্রেন্টন। এ হামলায় ৫১ জন প্রাণ হারান। সারাবিশ্বকে গভীরভাবে নাড়া দেয় এই হামলা। এ ঘটনায় বন্দুক আইন শিথিল করতে বাধ্য হয় নিউজিল্যান্ড সরকার।
পূর্বকোণ/পিআর