চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৬ মাসে উদ্ধার চট্টগ্রাম বন্দরের ৪৭ একর জমি

সারোয়ার আহমদ 

২১ নভেম্বর, ২০২০ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গতবছরের জুলাই থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত তাদের নিজস্ব জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৪৭ একর জায়গা উদ্ধার করেছে। এই সময়ের মধ্যে মোট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে ১৭২টি। যেখানে মামলাও হয়েছে ৬৮২টি। এর মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে ৫৮ লক্ষ ৫২ হাজার ১২৭ টাকা। অর্থাৎ গত এক বছর চার মাসের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্দরের আয় হয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি। চট্টগ্রাম বন্দরের ভূসম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভ্রম্যমাণ আদালতের উচ্ছেদ অভিযানে গত বছরের জুলাইয়ে লালদিয়াচর এলাকায় ২০ একর, অক্টোবরে সদরঘাট এলাকায় ৫২ শতক, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পতেঙ্গা এলাকায় ১০ একর, ফেব্রুয়ারিতে বড়পুল এলাকায় সাড়ে ৪ একর, সেপ্টেম্বরে বন্দর উত্তর আবাসিক এলাকায় ৩ একর, অক্টোবরে সদরঘাট ও পতেঙ্গা এলাকায় ৭ একর এবং চলতি নভেম্বরে নিউমুরিং এলাকা ২ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব এলাকায় পরিচালিত উচ্ছেদে ৬৮২ টি মামলার করার পাশাপাশি ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের উপ- ব্যবস্থাপক (এস্টেট) জিল্লুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, বন্দরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রায় সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্টেট বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালা করে। এ সময় ভূমি উদ্ধারের পাশাপাশি জরিমানা ও শাস্তি দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর ভূমি পুনরুদ্ধার আইন ১৯৬২ অনুযায়ী একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বন্দরের কাজে নিয়োজিত থাকেন। বর্তমানে এ দায়িত্বে রয়েছেন গৌতম বাড়ৈ। বন্দরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি পূর্বকোণকে বলেন, আমরা বন্দরের নিজস্ব জায়গা নিজেদের দখলে রাখার জন্য কিছু দিন পর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। যেসব জায়গায় নিরাপত্তা বেষ্টনি বা দেয়াল দেওয়া সম্ভব সেসব জায়গা উচ্ছেদের পর দেয়াল দিয়ে দেওয়া হয়। আর যেখানে দেয়াল দেয়া সম্ভব হয় না ওইসব জায়গায় কিছুদিন পর পর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকে। এমনকি করোনার সময়েও বন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল।

গৌতম বাড়ৈ আরো বলেন, বর্তমানে লালদিয়ার চর এলাকা ছাড়া আর কোথাও অবৈধ দখলে নেই বন্দরের জায়গা। সেখানে বন্দরের অবশিষ্ট জায়গা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কয়েকদিন আগে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট