করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দর্শক কমে যাওয়ায় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে সিনেমা হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ হল বন্ধ রাখার ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন। আগামী ১৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের সব সিনেমা হল। তবে এর আওতার বাইরে থাকবে সিনেপ্লেক্সগুলো।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিনোদন–দুনিয়া স্থবির হতে চলেছে। বিনোদন বিশ্বের পর করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে।

এদিকে শোবিজের সংগঠনগুলো করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। শুটিং, ডাবিংয়ের অবাধ গতিকে টেনে ধরা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবছেন সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা। নিজেদের মধ্যে কিছুদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। এবার তার একটা সাংগঠনিক রূপদেখা দিতে পারে।

ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে ১৯ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুটিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে অল ইন্ডিয়া প্রডিউসারস এসোসিয়েশন (ইমপা)। মাত্র তিন দিনের মধ্যে বকেয়া কাজ শেষ করে ১৯ তারিখ থেকে শুটিং বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দেয় সংগঠনটি। ভারতের মতো বাংলাদেশের শোবিজ সংগঠন এরকম কোন নির্দেশনা দিবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলমের কাছে  জানতে চাইলে তিনি জানান, ১৭ মার্চের পর চলচ্চিত্রের সব সংগঠনকে নিয়ে তাঁরা বসবেন। প্রাথমিকভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এবার একটি বৈঠক ডেকে সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করা যেতে পারে। খসরু জানান, বহু দেশের সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। বড় বড় লিগের খেলা যেখানে বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে সিনেমা হল খোলা রেখে লাভ কী?

অন্যদিকে, করোনাকে কারণ দেখিয়ে ১৩ মার্চের ছবি মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত ‘উনপঞ্চাশ বাতাস’ পিছিয়ে গেছে। পিছিয়ে গেছে ২০ মার্চের দুটি ছবি দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ছবি ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ ও সুজন বড়ুয়া পরিচালিত ‘বান্ধব’। ২৭ মার্চের ছবি চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ নিয়েও আছে শঙ্কা। সব মিলিয়ে করোনায় স্থবির হওয়ার পথে শোবিজ।