দীর্ঘ বহুবছর ধরে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নস্থ পাহাড়ি এলাকার জাঙ্গালীয়ায় আরকান সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে যানবাহন দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানি ঘটছে প্রচুর। আঁকাবাঁকা সড়ক যাতায়াত ব্যবস্থা এবং ঝোঁপ-জঙ্গলবেষ্টিত এলাকার আরকান সড়কের এ অংশটুকু যানবাহন যাতায়াতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। সড়কের সংকীর্ণ যাতায়াত ব্যবস্থা এবং অপরদিকে লবণভর্তি ট্রাকের লবণাক্ত পানি পড়ে সড়কের বেহাল দশা ঘটে। দূর-দূরান্তের বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহন ওই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াত করছে। নিঝুম-নিস্তব্ধ জনশূণ্য এলাকার সড়কের এই অংশে নবাগত অনেক যানবাহন চালক সড়কের যাতায়াত ব্যবস্থায় যানবাহন নিয়স্ত্রণ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। যে কারণে ওই এলাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল হচ্ছে। সম্প্রীতি সংগঠিত ওই এলাকার তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৫ জন এবং আহত হয়েছে অনেক। দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়ায় তাদের নাম-ঠিকানা ও পরিচয় সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না।
অতএব, আরকান সড়কের জনমানবশূণ্য ঝোঁপ-জঙ্গলবেষ্টিত এ অংশটুকু অতি জরুরি ভিত্তিতে সড়ক সম্প্রসারণসহ লবণভর্তি ট্রাকের পানি পড়া প্রতিরোধকরণ বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি একান্ত আবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
এ প্রসঙ্গে দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, দুর্ঘটনাস্থলটি জনমানবশূণ্য, পাহাড়ি এলাকা, উঁচু-নীচু হওয়ার কারণে যানবাহন চালককেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এই কারণেই বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এই মুহূর্তে সড়ক সংষ্কার কাজ শুরু করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কের এই অংশটি সংষ্কার হলে হয়তো যানবাহন দুর্ঘটনা রোধ হবে।
একই প্রসঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন, উল্লেখিত স্থানে প্রত্যেক যানবাহন চালককে খুব কম গতিতে গাড়ি চালাতে হবে এবং কালবিলম্ব না করে ওই সড়কের এ অংশটি সংস্কারপূর্বক সম্প্রসারণ করতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর