দায়িত্ব পালন শেষে বিকেলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ফেরার সময় বাঁশ-বোঝাই ট্রাকচাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ‘মুক্তি কক্সবাজার’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার নারী শিক্ষকের। এ নিয়ে একদিনে উখিয়ায় ৩ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) উখিয়া মধুরছড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের এফ-৭৫ ব্লকে একই টয়লেটের ভেতর থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
একইদিন মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তি কক্সবাজার নামক একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার সময় কুতুপালং ক্যাম্প ওয়ান ইস্ট এলাকায় বাঁশ-বোঝাই ট্রাকচাকায় পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাবেয়া বসরী (২৫) উখিয়া জালিয়াপালং প্যাইনাশিয়া বাংলা জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) এলাকার হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী। তার ২ বছরের একটি ছেলে শিশু রয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপর নিহতরা হলেন- ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-৭৫ ব্লকের বাসিন্দা রশিদ আহমদের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে সুবাইদা বেগম (১৮)। তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সিরাজ আমীন জানান, ক্যাম্প সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত, কেন খুন করা হলো তার তদন্ত চলমান রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অফিস শেষ করে বাড়ি যাওয়ার সময় বেসরকারি সংস্থা ‘মুক্তি কক্সবাজার’ এর এক নারী শিক্ষক বাশঁ-বোঝাই ট্রাকচাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছে। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ এবং ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মা-মেয়ের দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা। মা-মেয়ে খুনের সাথে কারা জড়িত রয়েছে রহস্য বের করার জন্য অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে এপিবিএন পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। মরদেহ ৩টি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ