চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন সহ-শিক্ষামূলক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ক্লাব এলায়েন্সের উদ্যোগে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ১০০ দিন-প্রাপ্তি ও সীমাবদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইয়াহিয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আনোয়ার, সহকারী প্রক্টর প্রভাষক সাইদ কামাল প্রমুখ।
আয়োজনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের কার্যক্রম ও সংগঠনের ভূমিকা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, প্রশাসনের বিগত ১০০ দিনের সফলতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
ক্লাব এলায়েন্সের পক্ষ থেকে মূল আলোচক হিসেবে চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি জামিল নওশান ও রাষ্ট্রচিন্তা-চবি’র সভাপতি রিফু প্রশাসনের কার্যক্রমের বিশ্লেষণ করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দ্রুত সমাধানের দাবিও জানান।
ক্লাব এলায়েন্সের মুখপাত্র সাজ্জাদ হোসেন সার্বিক আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। এ সময় প্রশাসনের কাছে ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়।
চবি উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ক্লাবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক সহায়তা করে। প্রশাসন জবাবদিহিতার মধ্যে থেকে কাজ করতে চায়। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধান সম্ভব।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইয়াহিয়া আখতার বলেন, প্রশাসনের কার্যক্রমের মূল্যায়নের সময় এখনও আসেনি। তবে ক্লাবগুলো নতুন শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করতে পারলে তাদের ক্যারিয়ারের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রশাসন এই বিষয়ে ক্লাবগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অগ্রগতি ও সম্ভাব্য সমস্যার সমাধানের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ