চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

রাউজানে বিএনপি কর্মীর বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ

রাউজান সংবাদদাতা

১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

রাউজানে এক বিএনপি কর্মীর বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে টাকাসহ স্বর্ণের চেইন লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হলদিয়া ছিন্নিবটতল এলাকায়। এই ঘটনায় বুধবার (১ জানুয়ারি) রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. ইউসুফ।

 

রাউজান থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর রাতে একাধিক মামলার আসামি স্থানীয় হাবিবুর বশরের ছেলে মো. রাশেদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতকারী ঘরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আসবাবপত্র, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ২ লাখ টাকা। মারধর করে ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া এবং একটি এনজিও সংস্থা থেকে উত্তোলনকৃত কিস্তির ৩০ হাজার টাকা লুট করা হয় বলে দাবি গৃহবধূ হালিমা আকতারের।

 

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা এসে আমার স্বামী কোথায় জিজ্ঞেস করতেই ভাঙচুর শুরু করে। পরে আমার কামিজ ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। এ সময় আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ঘরে রক্ষিত ৩০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী মো. সেলিম বলেন, রাশেদসহ তার শ্যালকরা এবং বহিরাগত কয়েকজন এসেছিল। তারা ভাঙচুর চালিয়েছে।

 

বিএনপি কর্মী ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি বিএনপির একটি মিটিংয়ে ছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত রাশেদসহ একদল দুষ্কৃতকারী আমার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীদের হাতে লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র ছিল।

 

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনাটি সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত মো. রাশেদ। তার দাবি, ইউসুফ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এতদিন আত্মগোপনে ছিল। সে আসার খবর পেয়ে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম, তাকে না পেয়ে ফিরে আসি। হামলা বা জিনিসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা।

 

হলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রাউজান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন জীবনের সঙ্গে দেখা হলে তিনি বলেন, আলমগীর আমাদের দলের অর্থাৎ বিএনপি কর্মী। অন্যদিকে রাশেদ আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। শুনেছি এখন বিএনপিতে যোগদানের চেষ্টা করছেন।

 

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাউজান থানাধীন চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার উদ্দিন।

 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সফিকুল আলম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের প্রেক্ষিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট