সীতাকুণ্ডে নতুন প্রজাতির পেকিন হাঁস পালন করে সফল হয়েছেন নাজিম খান নামে এক উদ্যোক্তা। ইতিমধ্যে তার খামার থেকে প্রতিদিন ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। কিছুদিন পর এখান থেকে নতুন করে বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি হবে।
সরেজমিনে উপজেলার মুরাদপুর রহমতনগর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, নাজিম খানের খামার এখন জমজমাট। খামারে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাজিম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একসময় বিদেশে থেকে চাকরি করেছি। সেখান থেকে দেশে ফেরার পর একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি। কিন্তু করোনায় সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। একাধিক ব্যবসায় লোকসান দিয়েছে।
নাজিম বলেন, পরে জানতে পারি পিকেএসএফের আর্থিক সহযোগিতায় এনজিও সংস্থা ইপসা ‘পেকিন জাতের হাঁস পালন’ বাস্তবায়ন করছে। পরে ইপসা ও পিকেএসএফের সহযোগিতা নিয়ে সাড়ে ৫ মাস আগে এই হাঁস পালন শুরু করি। এসময় ইপসা আমাকে বিনামূল্যে ৪০টি হাঁসের বাচ্চা দেয়। আরও ৬০টি কিনে নিই। তারপর প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা মেনে পালন শুরু করায় একটি হাঁসও মারা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি হাঁসগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে পালন করায় সাড়ে ৩ মাস বয়স থেকে ডিম পাচ্ছি। খামার তৈরি ও বাচ্চা কিনতে প্রথম দিকে আমার খরচ হয় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো। এছাড়া প্রতিদিন নিজের পরিশ্রম তো আছেই। প্রথম মৌসুমে এখনও পর্যন্ত ১৯টি হাঁস বিক্রি করেছি প্রতিটি ৮০০ টাকা করে। এছাড়া প্রতিদিন ৪০-৫০টি ডিম পাওয়া যায়। একটি হাঁস দেড় বছরেরও বেশি সময় ডিম দেয়।
উদ্যোক্তা নাজিম খানকে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন বলে জানান ইপসার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. গোলাম সরওয়ার। তিনি বলেন, পিকেএসএফের আর্থিক সহযোগিতায় ইপসা পেকিন প্রজাতির হাঁস থেকে মাংস, ডিমের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য আমরা প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে বাচ্চাসহ নানা সহযোগিতা করছি।
পূর্বকোণ/ইব