উখিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে ভরাট করছে নিচু জায়গা। এতে জড়িত শতাধিক ডাম্পার সিন্ডিকেট। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে তাদের। কারণ হিসেবে জানা যায়, এতে জড়িত ফরেস্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
বনবিভাগ পাহাড় কাঁটার কাজে ব্যবহৃত ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় পাহাড় নিধনে জড়িতরা।
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিমোড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় চট্ট মেট্রো ড-১১-০০৭৫ নম্বর প্লেট সংম্বলিত একটি ডাম্পার জব্দ করে।
উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান রনি জানান, হাতিমোড়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পাহাড়ি টিলার মাটি কেটে গাড়িতে লোড করছিল একটি ডাম্পার, খবর পেয়ে সেখানে রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় মাটি সংগ্রহের কাজে জড়িতরা কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি। ডাম্পারটি জব্দ করে উখিয়া রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উত্তর টাইপালং এলাকার জনৈক পুতু কোম্পানি জব্দ হওয়া ডাম্পারটির মালিক। রোহিঙ্গা শ্রমিকদের ব্যবহার করে আহমেদ কোম্পানি নামে আরেক সহযোগীকে নিয়ে হাতিমোড়া, তুলাতলীসহ উখিয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড় নিধন করে মাটি সরবরাহ করেন তিনি।
ডাম্পার জব্দ হলেও পাহাড় খেকোরা কেন ধরা পড়ে না এমন প্রশ্নের জবাবে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, পাহাড় নিধনে জড়িতরা খুবই চতুর প্রকৃতির। তারা পাহাড় কাটার মতো গুরুতর অপরাধ সংঘটিত করার সময় সোর্স বসিয়ে রাখে। যার কারণে আমাদের অভিযানের খবর আগেই পেয়ে যায় তারা।
পাহাড় কাটায় জড়িতদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।
পূর্বকোণ/মানিক/জেইউ/পারভেজ