চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় তারাবি পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ২ যুবলীগ নেতার ওপর হামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি

১৬ মার্চ, ২০২৪ | ৩:৩৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই যুবলীগ নেতার উপর হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে চকরিয়া পৌর সদরের ম্যাক্স হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পৌর শহরে।

 

আহতরা হলেন- চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাছানগীর হোছাইন ও যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন কামরান। আহতরা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

এদিকে হামলার পরপরই এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, আওয়ামী লীগ নেতা এস.এম আলমগীর হোছাইন।

 

ওইসময় নেতারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সাতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেন। নচেৎ বিক্ষোভকারীরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

 

আহত চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাছানগীর হোছাইনের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা এস.এম আলমগীর হোছাইন বলেন, আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারের উপর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে পরিকল্পিতভাবে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীরের নেতৃত্বে ছোট ভাইয়ের উপর হামলার এই ঘটনা ঘটেছে।

 

তিনি আরও বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ছোট ভাই হাছানগীর হোছাইন ও যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন কামরান। তারা পৌর সদরের ম্যাক্স হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে লায়ন আলমগীরের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত পিছন থেকে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা হাছানগীর ও ইমরানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

 

চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, সম্প্রতি সোসাইটি বায়তুল মাওয়া জামে মসজিদ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। মসজিদের বিরোধী পক্ষ আমাদের পক্ষের লোকজনকে নানভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এর আগেও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাছানগীরের উপর হামলার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ শুক্রবার তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাছানগীর ও কামরানের উপর হামলা চালায় এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসীরা।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কি কারণে হামলার এই ঘটনা ঘটেছে আমরা তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলের আশপাশে কোন সিসি ক্যামরা আছে কিনা যাচাই করে দেখছি। যদি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায় তাহলে হামলায় জড়তিদের শনাক্ত করা সহজ হবে।

 

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোন অভিযোগ বা এজাহার দেয়নি। এজাহার দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলায় জড়িতদের আটক করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট