বান্দরবানে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা আনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত চোবাহান জোমাদার (৩৯) লামা ৬ নম্বর রুপসীপাড়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুর আলী পাড়ার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বান্দরবানের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা আদালত এই আদেশ দেন।
আইনজীবী ও আদালত সূত্র জানায়, ২০০২ সালে হালিমা বেগমের সাথে চোবাহানের বিয়ে হয়। তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় একটি কন্যা শিশু। দাম্পত্য জীবনে সম্পর্কের অবনতি হলে ২০১০ সালে ডিভোর্স হয় তাদের মধ্যে। সেই থেকে কন্যা শিশু নিয়ে মা ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। ভাইয়ের বাড়িতে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ২০১৮ সালে তার কিশোরী কন্যাকে বাবা চোবাহান জোমাদার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ওই বছরের ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কন্যাটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাবা চোবাহান জোমাদার। সেই থেকে ওই বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসছিল। লোক লজ্জার ভয়ে ওই শিশুটি কাউকে কিছু বলতে না পারলেও পরে মামার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানালে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কিশোরীটির মামা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে লামা থানায় চোবাহান জোমাদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সালাউদ্দিন কাদের প্রিন্স জানান, মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্বাক্ষ্য প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতা চোবাহান জোমাদারকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একইসাথে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানা আনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ