চট্টগ্রাম সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় সহনশীল জীবিকায়নে সুবিধাভোগীদের নিয়ে কর্মশালা

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ৯:০৭ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে কর্মশালা উপজেলা পরিষদের সম্মলেন কক্ষ মোহনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জার্মান সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের অর্থায়নে এই কর্মশালা আয়োজন করে এনজিও সংস্থা আনন্দ ও সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (সিপ)।

 

চকরিয়া এবং সীতাকুণ্ডের চারটি ইউনিয়নের পিছিয়ে থাকা হত দরিদ্র ছয় হাজার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে আনন্দ ও সিপ প্রশিক্ষণ আর পুঁজি দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। চকরিয়ার দুই ইউনিয়নের উপকার ভোগীদের এক বছরে অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালাটি।

 

আনন্দের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমন পাল ও প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ক্লাসিটা ক্লারা রোজারিও’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনন্দের জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এম এ কুদ্দুছ।

 

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাকেরা শরীফ, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী প্রমুখ। কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘গরু-ছাগলকে টিকাদান, ‘হাঁস-মুরগির ওষুধ দিয়ে আসছে উপকোরভোগীদের। ছাগল ও মুরগির উন্নতমানের ঘর দিয়ে গরীব-অসহায় মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আনন্দ ও সিপ।’

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘উপজেলার দুটি ইউনিয়নের কৃষকদের বীজ ও চারা দিচ্ছেন এনজিও সংস্থা আনন্দ ও সিপ। এ ছাড়া একই সঙ্গে নানা জাতের সবজির জাত পাওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া মাঠে জৈব সার প্রয়োগ করার কারণে উৎপাদনও বাড়ছে।’

 

কর্মশালায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চকরিয়ায় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ প্রসিদ্ধ এলাকা। আনন্দ ও সিপ প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ, জৈব সার, বীজ-চারা ও গরু-ছাগলকে টিকা প্রদান করে নানাভাবে সহায়তা করে আসছে। জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত সবজির প্রতি ভোক্তাদের আলাদা নজর আছে, তাই জৈব সার দিয়ে সবজি উৎপাদনের দিকে কৃষকদের জোর দিতে হবে। কাকারা ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ১৮টি ওয়ার্ডের ১৮জন মডেল কৃষক গড়ে তুলতে হবে। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করলে অনেক লাভবান হয় কৃষক। এ ছাড়াও নারীরা বাড়িতে বসে নকশী কাঁথা ও কাপড় সেলাই করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।’

 

পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট