চট্টগ্রাম সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

শেষ মুহূর্তে নানা ‘নাটকীয়তা’

মোহাম্মদ আলী

৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে তত ভোটের মাঠে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে। চলছে সমানে গুজবও। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন ভোটারেরা।

 

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ২টি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। বাকি ১৪টিতে নিজেদের প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে গতকাল দিনভর একের পর এক নাটকীয় ঘটনায় পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব। তবে এটিকে গুজবও বলছেন কেউ কেউ। ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। দলের মনোনয়ন পেয়ে তিনি ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারীকে গত দুইবার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ। স্বাভাবিকভাবে এবারও সাধারণ ভোটারেরা মনে করেছিলেন তাকেই আওয়ামী লীগ সমর্থন দিবে। কিন্তু এবার তার ব্যত্যয় ঘটে। সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারীকে সমর্থন না দিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী হিসেবে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি’কে ঘোষণা দিলে দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে তারা নৌকা প্রার্থীকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। কিন্তু গতকাল শুক্রবার দিনভর ভোটের মাঠে চাউর হয়ে পড়ে যে, কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি’কে সরে যেতে বলেছেন। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান ও একতারা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদকে সমর্থন দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক সিনিয়র নেতা দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রার্থী পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভোটের মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এ মুহূর্তে কেন্দ্র থেকে কোন সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মেনে নেবে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরিবর্তে যার কথা বলা হচ্ছে নির্বাচনী মাঠে তার কোন জোরালো অবস্থান নেই।’

 

এ প্রসঙ্গে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমাকে ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ফোন দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী মাঠ থেকে নৌকার প্রার্থীকে সরে যেতে হবে।’

 

সুপ্রিমপার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহীম মিয়া দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ফটিকছড়ি আসনে একতারা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদকে সমর্থন দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে।’

 

এদিকে, ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়বকে নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি দল। তিনি তরমুজ প্রতীক নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

অন্যদিকে, নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে নির্বাচনের নানা নাটকীয় ঘটনা তৈরি হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটি আসনের প্রার্থীরা কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে বেশি।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট