চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের আয়োজনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স হলে এটি শুরু হয়।
সেমিনারের আহ্বায়ক ছিলেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগটির সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ।
প্রবন্ধকার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সর্বোচ্চ বিরোধিতা করেছিল। আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, সামরিক কায়দায় ক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিক দল গঠন করে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, উগ্রবাদ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনশক্তিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়, প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটে, মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ে তা আমরা গত কয়েকবছরে লক্ষ্য করেছি।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, যারা বিসিএসের মাধ্যমে অফিসার হচ্ছেন তারা সরকারের কর্মচারী, কোনো ব্যক্তির নয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সঠিক ভূমিকা পালন করে তাহলে ভালো নির্বাচন হওয়া সম্ভব।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর, নিজের ওজন বুঝে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এক করে দেখলে হবে না। আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করেছিলো বিএনপি তা করতে সক্ষম নয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ইসলামি বা চীন-রাশিয়ার মতো নয়। এর শুরু গণতন্ত্রে, ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক থাকবে।
এছাড়া বক্তব্য প্রদান করেন, হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খসরুল আলম কুদ্দুসী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতেয়ার উদ্দীন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি কাজী রবিউল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
পূর্বকোণ/পিআর