চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

সাধনপুরে পণ্য পায়নি কার্ডধারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী

৮ নভেম্বর, ২০২৩ | ১:৫০ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের ডিলার ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সরকারি টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনলাইনের পরিবর্তে ইউপি সদস্যরা সিল মেরে টোকেন দিয়ে পণ্য বিতরণ করেছেন। অনলাইনে তালিকাভুক্তদের বঞ্চিতকরায় কার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন উপকার ভোগীরা।

 

গত ৬ নভেম্বর উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে  সরকারি টিসিবি পণ্য বিতরণ করেন ডিলার।

 

১৫৩৬ জন উপকারভোগীর মধ্যে অনলাইনে তালিকাভুক্ত উপকার ভোগী অনেকে সরকারি টিসিবি পণ্য পাননি। না পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ ৬-৭শ অনলাইনে তালিকাভুক্ত কার্ডধারী উপকার ভোগী টিসিবি পণ্য না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে কার্ড হাতে নিয়ে পরিষদের মাঠে বিক্ষোভ করেছেন।

 

সাধনপুর ইউপি সচিব নোবেল ভট্টাচার্য বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির মাধ্যমে  টিসিবি পণ্য  সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে ১৫৩৬ জনকে বিতরণ করা হয়েছে, কিন্তু মালামাল শেষ হয়ে যাওয়াতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু কার্ডধারী উপকার ভোগী পণ্য পায়নি।

 

এ বিষয়ে নিবানী দে নামক এক টিসিবি পণ্য ডিলারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করে ডিলার পরিচয় দিয়ে বলেন, মেম্বার,মহিলা মেম্বার ও গ্রাম পুলিশসহ সকলের উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়ম প্রসঙ্গে ডিলার ক্ষেত্রপাল স্টোর এর মালিক নিবানী দে জানান, ১৫৩৬ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। এখনও অনলাইন চালু হয়নি। মালামাল চলে আসায় ১৫৩৬ জনের নামের তালিকা অনুযায়ী টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। এতে শেষ পর্যন্ত ২০-৫০ জন পুরাতন কার্ডধারী বাদ পড়া ব্যক্তি টিসিবি পণ্য পায়নি। পণ্য বিতরণে অনলাইনের পরিবর্তে ইউপি সদস্যরা সিল মেরে টোকেন দিয়ে উপকারভোগীদেরকে পণ্য বিতরণ করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মালামালগুলো প্রথমে আমার কাছ থেকে সকলে বুঝে নিয়েছেন। প্রসঙ্গ টেনে ডিলার বলেন, পণ্যগুলি যথানিয়মে বিলি হয়েছে। মানুষ ছিল অতিরিক্ত।

 

সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন কামাল বলেন, টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছেন ডিলার। এই সময় বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কিছু ব্যক্তি পণ্য পাইনি বলে শুনেছি।  আমি তদন্ত করে দেখব।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, টিসিবি পণ্য  নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে একজন আমাকে ফোন করে ছিল। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম, সোমবার পর্যন্ত কেউ অভিযোগ  দেয়নি। এরপরেও আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। অনিয়ম হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট