চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

রাঙ্গুনিয়ায় ঘরে ঢুকে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা, ‌‘নেপথ্যে তোপায়েল গ্রুপ’

রাঙ্গুনিয়া সংবাদদাতা

৩১ অক্টোবর, ২০২৩ | ১:২৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ঘরে ঢুকে আমির হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার স্ত্রী ও ছেলেকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছৈয়দুরখীল গ্রামের ফজল বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত বৃদ্ধ আমির হোসেন (৬৫) ওই এলাকার আব্দুল নবীর সন্তান এবং পেশায় একজন কৃষক। আহতরা হলেন- তার স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫) এবং ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫)। তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সরফভাটার শীর্ষ সন্ত্রাসী তোপায়েল গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করেন।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মোনাফ জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একদল সন্ত্রাসী ছৈয়দুরখীল গ্রামের ফজল বাপের বাড়িতে বৃদ্ধ আমির হোসেনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমির হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী ও ছেলে এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। দিবাগত রাত ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ আমির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

স্থানীয়রা জানান, নিহত বৃদ্ধের অপর সন্তান সাইফুল আলম একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিল। সে উকিল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দুইটি পিস্তল, তিনটি বন্দুক, তিনটি এলজি, দুইটি পাইপগান ও ২৭ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছিল। অন্যদিকে নিহত উকিল সন্ত্রাসী তোফায়েলে গ্রুপের প্রধান তোফায়েলের বড় ভাই। বড় ভাইকে হত্যার বদলা নিতেই সন্ত্রাসী তোফায়েল গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে সাইফুলের পরিবারের উপর এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

 

এ ব্যাপারে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মোবারক বলেন, ‘পাহাড়ে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’

 

সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সরফভাটার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপের কারণে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়, একাধিক ডাকাতি এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। প্রশাসনকে বার বার অবহিত করার পরও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। এই সন্ত্রাসী গ্রুপকে আইনের আওতায় আনতে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

পূর্বকোণ/জিগার/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট