চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু টানেল

১২ ঘণ্টায় ২০৬৪ গাড়ি পারাপার, টোল আদায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা

আনোয়ারা সংবাদদাতা

২৯ অক্টোবর, ২০২৩ | ৯:৫৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দুই প্রান্ত যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় টানেল দিয়ে ২০৬৪টি গাড়ি পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে চার লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা।

 

রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টায় যানচলাচলের জন্য বঙ্গবন্ধু টানেল উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর প্রথম দিকে একটু চাপ দেখা দেয়। গণপরিবহন, প্রাইভেটকার আর বাসের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। প্রথম দিনে জরুরি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টানেল দেখার জন্য গাড়ি ভাড়া করে আসতে থাকে মানুষ।

 

টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজায় সকাল ৬টায় প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা। তিনি জানান, টানেল এলাকায় এসে অপেক্ষা করার সময় আরও গাড়ি এসে অপেক্ষা করে। তখন মনে হচ্ছিল, প্রথমে টোল দিতে পারব না। তবে ভালো লাগছে প্রথম টোল দিতে পেরেছি।

 

একই গাড়ির চালক মো. শাহেদ বলেন, সারাজীবন গাড়ি চালালাম সেতু আর ফেরি পার হয়ে। এবার নদীর নিচ দিয়ে যাব, খুব উত্তেজনা কাজ করছে।

 

জুয়েল রানার পর টোল দেন সাতকানিয়ার চালক শফিক আলম। তিনি মো. জাকারিয়া নামের যাত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। শফিক আলম বলেন, এত তাড়াতাড়ি এয়ারপোর্টে পৌঁছে যাচ্ছি, আশ্চর্যের বিষয়!

 

এদিকে পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে সকাল ৬টার দিকে টানেলে প্রবেশ করেন দুলাল সিকদার। তিনি জানান, টোল বক্স আনোয়ারায় হওয়ায় টোল আগে দিতে না পারলেও আগে টানেলে প্রবেশ করেছি। তাই ভালো লেগেছে।

 

এর আগে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত টানেল দিয়ে প্রবেশ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে দেখা যায় দুই প্রান্তে। দেশ তো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম টানেল তাই এটি আনন্দের বটেই।

 

টোল প্লাজা সূত্রে জানা গেছে, টানেল খুলে দেওয়ার পর ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টায় ৭২টি গাড়ি চলাচল করে। আর এতে টোল আদায় হয় ১৯ হাজার ৫০ টাকা। পরের এক ঘণ্টায় ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ৪৯টি গাড়ি অতিক্রম করে। এতে টোল আসে ১১ হাজার ২০০ টাকা। এরপরে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৬৯টি পারাপার হয়, এতে টোল আদায় ১৫ হাজার ৭৫০ টাকা। সবমিলিয়ে প্রথম দিন ১২ ঘণ্টায় পার হয় ২০৬৪ গাড়ি। এতে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে।

 

রতন শেখ নামে টুলবক্সে দায়িত্বরত এক কর্মচারী জানান, ভোর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই টানেলে আসছে। টোল দিয়ে টানেল পার হচ্ছে। অন্যান্য গাড়ির তুলনায় কার, মাইক্রোবাসের সংখ্যা বেশি।

 

বঙ্গবন্ধু টানেলের টুল ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন বলেন, ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় পার হলো ২০৬৪ গাড়ি। এতে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/সুমন/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট