আগামী ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ও আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে এ জনসভাকে ঘিরে দলীয় সংসদ সদস্য, মনোনয়নপ্রত্যাশী ও নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
জনসভার প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিতে আজ আসছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। নগরের কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিকেল ৩টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি দলে থাকছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সকালে টানেল ও জনসভার মাঠ পরিদর্শন করবেন। বিকেল ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় যোগ দেবেন তারা। তিনি বলেন, প্রস্তুতি সভায় জেলা আওয়ামী লীগ, দলীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ও ইউপি দলীয় চেয়ারম্যান, মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং নগর-উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন। সবমিলে এক হাজার থেকে ১২শ নেতা উপস্থিত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন, টানেল উদ্বোধন ও জনসভা উপলক্ষে নতুন সাজে সাজছে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলা। টানেল ও টানেল রুট এবং জনসভার আশপাশের সড়কগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে। শুধু দক্ষিণ জেলা নয়, প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের জনসভাকে ঘিরে নগর ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, ‘দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নগর, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে সহায়তা করা হচ্ছে।
আ জ ম নাছির বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী আর চট্টগ্রামে আসতে পারবে বলে মনে হয় না। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেবেন তিনি।’ সরকারের উন্নয়ন প্রচারণা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার, অপপ্রচার, সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিতে পারেন বলে মনে করেন তিনি।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হবে। এছাড়াও জনসভায় যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের বহন করা বাসের জন্য বড় আকারের চারটি পার্কিং মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। অর্থনৈতিক জোনের অব্যবহৃত মাঠগুলো সংস্কার করেই পার্কিং জোন করা হয়েছে।
সাড়ে নয় লাখ ঘনফুট আয়তনের মাঠ জনসভার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যা পলোগ্রাউন্ড মাঠের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বড়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘নৌকার আদলে দেশের সবচেয়ে বড় মঞ্চ নির্মাণ করা হবে। সকাল থেকে মঞ্চে দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। চলবে দুপুর পর্যন্ত। সবমিলে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্মার্ট বাংলাদেশের আবহ থাকবে।’
আগামী ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহু প্রতীক্ষিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানেল উদ্বোধনের পর কর্ণফুলীর ওপারে আনোয়ারা উপজেলায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
পূর্বকোণ/পিআর